চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সড়কের ওপর যাত্রীবাহী বাস উল্টে এক নারী (৩২) যাত্রী নিহত হয়েছেন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় উল্টে যাওয়া বাসের ভেতরে আটকে পড়া তিন যাত্রীকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এ সময় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। আজ সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট এমপিবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার ফলে প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেন বন্ধ ছিল। ফলে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হয়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিকে সরিয়ে নেয় বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা-পুলিশ।
দুর্ঘটনায় নিহত নারী যাত্রী ও আহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, স্টার লাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের চাকা ফেটে গেলি সেটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। বাসটি সড়ক বিভাজকে ধাক্কা খেয়ে উল্টে ঢাকমুখী লেন থেকে চট্টগ্রামমুখী লেনের ওপর আছড়ে পড়ে।
সৌরভ দাস নামে স্থানীয় একজন বলেন, দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিক স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেন। কিন্তু বাসের দরজা-জানালা ভারী অংশের চাপে এমনভাবে ছিল যে ভেতরে আটকা পড়া তিন যাত্রী বের হতে পারছিলেন না। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে স্থানীয়দের দুটি এক্সকেভেটরের সাহায্যে চারজনকে ভেতর থেকে উদ্ধার করে।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে স্থানীয় জনতা কয়েকজন যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। সকাল ১০টার দিকে তাঁরা ভেতর থেকে তিনজন পুরুষ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করেন। তবে নারী যাত্রীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, স্টার লাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি চট্টগ্রাম থেকে ফেনীতে যাচ্ছিল। বাসে ১০-১৫ জন যাত্রী ছিল বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা। চাকা ফেটে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বাসটি।