বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। সেই উন্নয়নের পথ ধরেই আজকের এই অন্তর্ভুক্তিকরণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় এবং একই সাথে বাস্তবায়িত হলো সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের রূপকল্প ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আরেকটি ধাপ।’
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) কক্সবাজার রামু সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া কোরে নতুন সংযোজিত অত্যাধুনিক লাইট ট্যাংক ভিটি-৫ এবং আর্টিলারি রেজিমেন্টে কিউডব্লিউ ১৮ এ মিসাইল সিস্টেম অন্তর্ভুক্তিকরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া কোরের একটি ক্যাভালরিতে নতুন সংযোজিত অত্যাধুনিক লাইট ট্যাংক ভিটি-৫ এবং আর্টিলারি রেজিমেন্টের এডহক এসএএম রেজিমেন্ট আর্টিলারিতে কিউডব্লিউ ১৮ এ মিসাইল সিস্টেম অন্তর্ভুক্তিকরণ অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর প্রধান তাঁর বক্তব্যে ইউনিট দুটি’র সকল সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফট্যানেন্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, মাস্টার জেনারেল অব অর্ডন্যান্স মেজর জেনারেল মো. আবু সাঈদ সিদ্দিক, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান, সেনাকল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ।
এছাড়া ঊর্ধ্বতন সেনা ও বিমান বাহিনী কর্মকর্তাগণ, কক্সবাজার এরিয়ায় কর্মরত অফিসার, জেসিও এবং অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।