১
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজফাইল ছবি: রয়টার্স
দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ বিরতিহীন উড়োজাহাজ চলাচল করছে। এ পথে নিয়মিত উড়োজাহাজ পরিচালনা করে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। এই পথের দূরত্ব ৯ হাজার ৫৩৭ মাইল। প্রশান্ত মহাসাগর পেরিয়ে এ পথে বিরতিহীন উড়োজাহাজ ভ্রমণে সময় লাগে ১৮ ঘণ্টা ৫০ মিনিট। এই উড়োজাহাজে ‘ইকোনমি ক্লাস’ নেই। একমুখী যাত্রায় একেকটি টিকিটের দাম প্রায় ৯১০ পাউন্ড (১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮৫ টাকা প্রায়) থেকে শুরু হয়। ফলে এতে প্রতি মাইলের জন্য যাত্রীকে গুনতে হয় ১০ পাউন্ড (১ হাজার ৫৪০ টাকা)।
২
সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরফাইল ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর পর্যন্ত একটি বিরতিহীন উড়োজাহাজ চলাচল করত। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি বিরতিহীনভাবে ৯ হাজার ৫৩৪ মাইল পথ পাড়ি দিত। সময় লাগত ১৮ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। এই উড়োজাহাজেও ‘ইকোনমি ক্লাস’ নেই। যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা সর্বোচ্চ ১৬১ জন। বলা হয়েছিল, এর ফলে জ্বালানিসাশ্রয় হয়। কিন্তু বাড়তি জ্বালানি ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে টিকিটের দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০০৪ সালে চালু হওয়া এই পরিষেবা ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়।
৩
কাতার এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজফাইল ছবি: রয়টার্স
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ও কাতারের দোহার মধ্যে চলাচল করে একটি বিরতিহীন উড়োজাহাজ। কাতার এয়ারওয়েজ এ পথে উড়োজাহাজ পরিচালনা করে। দূরত্ব প্রায় ৯ হাজার ৩২ মাইল। পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে ১৭ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ পথে উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হয়।
৪
কোয়ান্টাসের একটি উড়োজাহাজফাইল ছবি: রয়টার্স
অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন অবধি চালু রয়েছে বিরতিহীন উড়োজাহাজ পরিষেবা। অস্ট্রেলিয়ার পতাকাবাহী উড়োজাহাজ সংস্থা কোয়ান্টাস এটা পরিচালনা করে। এ পথের দূরত্ব ৯ হাজার ৯ মাইল। পাড়ি দিতে সময় লাগে টানা ১৭ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। ২০১৮ সালে এ পথে বিরতিহীন উড়োজাহাজ পরিষেবা চালু হয়। মাঝে করোনাকালে এ পথে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মহামারির পর ২০২২ সালের মে মাসে আবার চালু করে কোয়ান্টাস।
৫
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহর থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে চালু রয়েছে বিরতিহীন উড়োজাহাজ পরিষেবা। এ পথেও উড়োজাহাজটি পরিচালনা করে কোয়ান্টাস। দূরত্ব ৮ হাজার ৯৯২ মাইল। বিরতিহীনভাবে পাড়ি দিতে সময় লাগে ১৭ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ পরিষেবা চালু করে কোয়ান্টাস। সপ্তাহে তিনবার উড়োজাহাজ চলাচল করে এ পথে।
৬
ফ্রান্সের প্যারিসের চার্লস দ্য গল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরফাইল ছবি: রয়টার্স
অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস অবধি বিরতিহীন উড়োজাহাজ পরিষেবা পরিচালনা করে কোয়ান্টাস। এ পথের দূরত্ব ৮ হাজার ৮৬৩ মাইল। বিরতিহীনভাবে পাড়ি দিতে ১৭ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় লাগে। গত বছর জুলাইয়ে এ পথে উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হয়। সপ্তাহে তিনবার চলাচল করে। দ্বিমুখী যাত্রায় প্রতি টিকিটের দাম পড়ে প্রায় ১ হাজার ৪০০ পাউন্ড।
৭
এয়ার নিউজিল্যান্ডের একটি উড়োজাহাজফাইল ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড পর্যন্ত চলাচল করে বিরতিহীন উড়োজাহাজ। এ পথের দূরত্ব ৮ হাজার ৮২৮ মাইল। পাড়ি দিতে সময় লাগে ১৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এ পরিষেবা চালু করে এয়ার নিউজিল্যান্ড। পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালের জুনে পরিষেবাটি কোয়ান্টাসের হাতে চলে যায়।
৮
অকল্যান্ড ও দুবাইয়ের মধ্যে উড়োজাহাজ পরিচালনা করে এমিরেটসফাইল ছবি: রয়টার্স
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের মধ্যে চলাচলকারী এই উড়োজাহাজটি পরিচালনা করে এমিরেটস। পথের দূরত্ব ৮ হাজার ৮২৩ মাইল। বিরতিহীন যাত্রায় সময় লাগে ১৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। এ বছরের জানুয়ারিতে এ পথে ফিরতি যাত্রার টিকিটের দাম ছিল প্রায় ১ হাজার ৯৫০ পাউন্ড (২ লাখ ৯৯ হাজার ৩২৫ টাকা প্রায়)।
৯
শেনঝেন চীনের একটি শহর। আর মেক্সিকো সিটি হলো উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোর রাজধানী। এই দুই শহরের মধ্যে বিরতিহীন উড়োজাহাজ চলাচল করে। পরিচালনা করে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনস। পথের দূরত্ব ৮ হাজার ৭৯১ মাইল। বিরতিহীন যাত্রায় ১৬ ঘণ্টা সময় লাগে। ২০২৪ সালের ১১ মে এ পথে বিরতিহীন উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হয়।
১০
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত সপ্তাহে দশবার বিরতিহীন উড়োজাহাজ চলাচল করেফাইল ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে দশবার বিরতিহীন উড়োজাহাজ চলাচল করে। পরিচালনা করে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। এ পথের দূরত্ব প্রায় ৮ হাজার ৭৭০ মাইল। বিরতিহীন যাত্রায় ১৭ ঘণ্টা ৫০ মিনিট সময় লাগে। গত বছরের ডিসেম্বরে এ পথে ফিরতি যাত্রায় একেকটি টিকিট কাটতে ১ হাজার ৩৮০ পাউন্ড (২ লাখ ১১ হাজার ৮৩০ টাকা প্রায়) করে গুনতে হয়েছে।