গতকাল ১৫ জানুয়ারি পার্বত্য রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি জোনের দায়িত্বপূর্ণ নাড়াইছড়ি এলাকায় চার (৪) বছরের শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়ে বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। শিশুটির নাম খুশি চাকমা (৪), পিতা পলাশ চাকমা ও মা মিলোমি চাকমা। খুশি চাকমা কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সাপছড়ি’র বাসিন্দা। শীতের প্রকোপ কাটাতে, পাড়ার অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে আগুন পোহাচ্ছিল খুশি চাকমা। এ সময় আগুনের খুব কাছাকাছি চলে যাওয়ায় তার শরীরে আগুন লেগে যায় এবং বাচ্চা শিশুটি অগ্নিদগ্ধ হয়।
প্রথমে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করে ঘরোয়া ভাবে প্রশমিত করার চেষ্টা করলেও অবস্থার অবনতি ঘটায় শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার স্বজনরা। গতকাল বিকেলে দূর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বিলাইছড়ি জোনের মেডিকেল টিমের হস্তক্ষেপে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তাররা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে। বাচ্চা শিশুটির অগ্নিদগ্ধতার খবর পেয়ে বিলাইছড়ি জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ আহসান হাবিব রাজীব, পিপিএম, পিএসসি বিকেলেই বাচ্চা শিশুটিকে দেখার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান। পরবর্তীতে শিশুটির চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় দুর্লভ ওষুধ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে চট্টগ্রাম থেকে আনার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসার পর ডাক্তাররা জানায় রোগীর অবস্থা অনেকটা স্বাভাবিক। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় আগুনে শিশুটির শরীরের প্রায় অনেক অংশই পুড়ে গিয়েছে। শিশুটির পরিবার আর্থিক সংকুলান করতে না পারায় শিশুটির যথাযথ চিকিৎসা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বিলাইছড়ি জোনের জোন কমান্ডার এর পরিদর্শনকালীন সময় জোন কমান্ডার কর্তৃক উক্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয় এবং ভূক্তভোগী পরিবারের পাশে থেকে চিকিৎসা বাবদ অন্যান্য সকল সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করবে বলে জোন কমান্ডার আশ্বাস প্রদান করেন। দুঃসময়ে সেনাবাহিনীকে পাশে পেয়ে অশ্রুসজল হয়ে পড়েন শিশুটির মা ও তার স্বজনরা। শিশুটির পিতা-মাতা জোন কমান্ডারের নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। আর্তমানবতার সেবায় সেনাবাহিনীর এ ধরনের উদ্যোগ পার্বত্য অঞ্চলে সম্প্রীতি স্থাপনের অনন্য নজির হয়ে থাকবে।