পটুয়াখালীর কুয়াকাটার মাঝিবাড়ি–সংলগ্ন সমুদ্রসৈকত থেকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করেছেন স্থানীয় জেলেরা। ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ শুনে সৈকতে গিয়ে তাঁরা তাঁকে দেখতে পান। পরে তাঁকে কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার যুবকের নাম মো. জসিম উদ্দিন। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবদী ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. শাহ আলম।
জেলেদের একজন মো. কবির হোসেন বলেন, তাঁরা মাছ ধরে সমুদ্র থেকে তীরে ফিরছিলেন। এ সময় একজন ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে ডাকছিলেন। প্রথমে তাঁরা তাঁকে পাগল মনে করেছিলেন। পরে কাছে গিয়ে দেখেন, বেলাভূমিতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবক পড়ে আছেন। সাগরের ঢেউ এসে তাঁর শরীরে লাগছে। তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করেন। নিজের নাম–পরিচয় বলে তিনি জ্ঞান হারান। তখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জসিম উদ্দিনের মা বিলকিস বেগম মুঠোফোনে বলেন, তাঁর ছেলে গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গত মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে জসিম বাড়ি আসার জন্য গাড়িতে ওঠেন। এর পর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ ছিল না। ফোনও বন্ধ ছিল।
কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক মুমসাদ সায়েম বলেন, গতকাল সন্ধ্যার দিকে অচেতন এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।