রাঙামাটির নানিয়ারচরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।
রবিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা হয়।
এসময় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বপ্রথম প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সাদিয়া নুরিয়া। পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিষদ, থানা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আওয়ামীলীগ, নানিয়ারচর প্রেস ক্লাব, বিএনপি, জেএসএস (এমএন লারমা), সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এছাড়াও উপজেলা মাঠ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষজন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় মুক্তিযুদ্ধের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে সকাল থেকে মানুষের ঢল নামে।
অন্যদিকে নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে দিবসটি ঘিরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. দর্শন চাকমা ঝন্টুর সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব হাওলাদার।
এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আনসার আলী, শাহজাহান মৃধা, ধর্মেশ খীসা, সুশান্তী তালুকদার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক জনতা শেখর চাকমা, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ঝিল্লোর মজুমদার, পরিবেশ ও বন বিষয়ক সম্পাদক পলেন তালুকদার, ছাত্রলীগের সভাপতি আকাশ কর্মকার সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্ধরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল ওহাব হাওলাদার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্ভীক নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এখন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
জনতা শেখর চাকমা বক্তব্যে বলেন, দেশ ভাগের পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের উপর নিপিড়ন, অত্যাচার, বঞ্চিত করে আসছিল। বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজকের এই দিনে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই থেকে বাংলার মানুষ প্রতিবাদ গড়ে তোলেন এবং মুক্তির জন্য সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েন।