নানিয়ারচর সেতুটি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ সেতু নামে নামকরণ করার জন্য পার্বত্য বাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবী জানিয়ে আসছিলো। কিন্তু সাধারণ পার্বত্য বাসীর দাবীকে পাশ কাটিয়ে সেতুটি চুনিলাল দেওয়ান এর নামে সেতুটি নামকরণ করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে । এতে পার্বত্য এলাকার সাধারণ জনগন খুবই মর্মাহত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের সামনে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার সেতুটি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ এর নামে নামকরণ করার দাবিতে
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার ডাকা মানববন্ধনে বক্তারা এ কথা বলেন।
এতে বক্তারা বলেন, মুন্সি আব্দুর রউফ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব “বীর শ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাঁদের অন্যতম।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি নিয়মিত পদাতিক সৈন্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল (মতান্তরে ২০ এপ্রিল) তিনি মর্টার শেলের আঘাতে শহীদ হন। তাঁকে রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাটে একটি টিলার ওপর সমাহিত করা হয়।
যে নানিয়ারচরের মাটিতে এই বীরশ্রেষ্ঠ শায়িত রয়েছেন সেই মাটির উপরে একটি সেতুর নামকরণ করা হচ্ছে অন্য নামে যা আমরা রাঙামাটিবাসী তথা পার্বত্যবাসী মেনে নিতে পারছি না।
মানববন্ধনে নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা সহ-সভাপতি কাজী জালোয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান, মহাসচিব আলমগীর কবির, রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মো: হাবীব আজম, ছাত্র নেতা শহীদুল ইসলাম, পারভেজ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা, সরকারের কাছে মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সম্মানের মূল্যায়ন করে উক্ত প্রজ্ঞাপনটি বাতিলসহ নানিয়ারচর সেতুটির নাম পূনরায় বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ সেতু নামে নামকরণ করার দাবী জানান বক্তারা।