রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। আজ রবিবার (৫ মার্চ ) বিকালে তিনি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিসে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
এসময় রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদেুর উন্নয়ন কার্যক্রম, পরিষদগুলির কার্যপ্রণালী, হস্তান্তরিত বিভাগগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত বিদেশী সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান।
এবিষয়ে চেয়্রাম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী রাষ্ট্রদূত এবং তার সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির কারণে বিভিন্ন দাতাসংস্থা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে। ইতোমধ্যে ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা, কৃষি এবং পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পরিচালিত প্রকল্পগুলির কারণে এলাকার মানুষের যথেষ্ট উপকার সাধিত হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিষ্ঠিত ৬৮টি স্কুল জাতীয়করণ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমেরিকান সরকার সিএইচটিডব্লিউসিএ প্রকল্প তথা ভিসিএফ এর মাধ্যমে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদকে এলাকার জলবায়ু ক্ষতিজনিত ঝুঁকি কমানোর জন্য সহযোগিতা করছে। প্রকল্পটি পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ও পরিবেশ রক্ষায় একটি অনন্য প্রকল্প। এ প্রকল্পটি স্থানীয় জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরও বলেন, সিএইচটিডব্লিউসিএ প্রকল্পটি খুব শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। এই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে বাকি ভিসিএফ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জলধারাসমূহ প্রকল্পের আওতায় এনে রক্ষার ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন। এই বিষয়ে তিনি রাষ্ট্রদূতের সহায়তা কামনা করেন।
সাক্ষাতকার অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সদস্য নিউচিং মারমা, সদস্য ঝর্ণা খীসা, সদস্য আছমা বেগম, নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা এবং ইউসেইড ও এসআইডি-সিএইচটি-ইউএনডিপির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।