শান্তি-সম্প্রীতি উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ি ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড খাগড়াছড়ি রিজিয়নের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ এবং বৈসাবি উৎসব উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অস্ত্র সমর্পনের মধ্যদিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ৯২ জন শান্তি বাহিনীর সদস্যদের আর্থিক অনুদান বিতরণ হয়েছে।
সোমবার (১০এপ্রিল) দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ এ অর্থ তুলে দেন।
এ সময় তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সাধারন মানুষের যেকোন বিপদে আপদে পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। সেনাবাহিনীরা পাহাড়ের পরম বন্ধু, পাহাড়ীদের পরম বন্ধু। আমরা সাধ্য ও সামর্থ্য মতো সহযোগিতা করবো। তিনি সংঘাত না করার আহবান জানিয়ে বলেন, আমাদের সদিচ্ছা আছে, আন্তরিকতা আছে। তিনি সংঘাত পরিত্যাগ করে অস্ত্র সমর্পন করবেন, শান্তির জন্য সংলাপ করবেন এমন সিদ্ধান্তকে সাহসি ও সমপোযোগি সিদ্ধান্ত বলে অবহিত করেন।
এ সময় খাগড়াছড়ি ডিজিএফআই ৩৯;র ডেট কমান্ডার লে. কর্নেল মো. শাহ আলম সিদ্দিকী, সদর জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো. আবুল হাসনাত, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার (জিটুআই) মেজর মো. জাহিদ হাসান, জেলা পরিষদের সদস্য শুভ মঙ্গল চাকমাসহ সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৭ সালের ২ রা ডিসেম্বর সরকার ও জনসংসহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির স্বাক্ষরের ধারাবাহিকতায় ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে গেরিলা নেতা সন্তু লারমার অস্ত্র সমর্পনের মধ্যদিয়ে জনসংহতি সমিতির সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।
কিন্তু চুক্তির পর একে একে পাহাড়িদের ৬টি সশস্ত্র সংগঠন জেএসএস (সন্তু), জেএসএস (এমএন লারমা), ইউপিডিএফ (প্রসীত), ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক), মগ লিবারেশন পার্টি (এমএলপি) ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলছে, পাহাড়ে ঝড়ছে প্রাণ পরিবার হারাচ্ছে প্রায়জন।