বাঙ্গালীদের প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষের বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় সকল সম্প্রদায়ের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে রাঙ্গামাটি শহর। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে আর্ন্তজাতিক সাংস্কৃতিক তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টি গুরুত্বারোপে জন্য রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন ও বাংলা নববর্ষ উদযাাপন কমিটির উদ্যোগে আয়োজনে বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন, রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এ সময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে রাঙ্গামাটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তেন গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা বর্ণিল সাজে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বিভিন্ন পোশাকে সজ্জিত হয়। যেমন খুশী তেমন সাজে অংশ গ্রহণ করেন অসংখ্য ছেলে মেয়ে। শোভাযাত্রায় হাতি ঘোড়া, প্যাচাসহ বিভিন্ন জাতীয় পাখী স্থান পেয়েছে।
পাহাড়ের প্রাণের উৎসব নিভিঘেœ পালনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখার চেষ্টার কথা জানিয়ে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিপিএম বার বলেন, গত কয়েকদিনে আমরা পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী বিজু উৎসব পালন করেছি। বিজু উৎসবের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো ছিল। এছাড়া আজ বাংলা নববর্ষ পালন করছি। বাংলা নববর্ষ ও আমরা সুন্দর সুষ্ঠ ভাবে শেষ হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন।
পাহাড়ের দীর্ঘ এই উৎসব আমাদের আরো একসাথে করবে এবং সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করবে জানিয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, পাহাড়ের এই উৎসব মাস ব্যাপী চলছে। পাহাড়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর উৎসবের সাথে সাথে আমরা বাংলা নববর্ষ পালণ করছি। আগামী কিছু দিন পর ঈদ উল ফিতর আসছে। প্রতিটি ক্ষণে পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করবো।
পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উৎসব ও বাংলা নববর্ষ আমরা সকলেই এক সাথে পালন করে থাকি। এই উৎবের মধ্যে দিয়ে আমাদের প্রাণের উৎসব আরো সুদৃঢ় হবে জানিয়ে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উৎসবেই মনে করিয়ে দেয় আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মিলন মেলা। এই মেলা মেলাকে আরো উজ্জ্বল করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাহাড়ে প্রতিটি সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কাজ করছে। পাহাড়ের এই উন্নয়ন ত্বরান্তিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ রুপান্তর হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।
শোভাযাত্রা শেষে শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এসো হে বৈশাখ গানের তালে তালে শুরু হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ীদের এইচ্যা বিজু বিজু বিজু গানের তালে তানে নৃত্য নৃত্য যেন আগত দর্শদের মাতিয়ে তোলে।
সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার পর রাঙ্গামাটি শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিশু কিশোরদের পুস্কার প্রদান করা হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।