রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি থানাধীন ধূপশীল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২০ লাখ ভারতীয় রুপিসহ এক গরু ব্যবসায়ীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। আটককৃত গরু ব্যবসায়ীর নাম মো: বদি আলম (৭০)।
শুক্রবার (২৬মে) সকাল ৯টায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে রাঙ্গামাটি আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিলাইছড়ি থানা সুত্রে জানাযায় বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় যৌথবাহিনী গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ১নং বিলাইছড়ি ৭নং ওয়ার্ড ধুপশীল সড়ক ওপর হতে মো: বদি আলমকে (৭০) গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাকে তল্লাশি করে ভারতীয় ২০লাখ রুপী(দশ বান্ডিল) এবং বাংলাদেশী নগদ ১লাখ ৭১হাজার ৫শ’টাকা এবং ব্যবহারিত একটি বাটন মোবাইল উদ্বার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যবসায়ী চট্রগ্রাম জেলার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সাং -দক্ষিণ নিশ্চিন্তপুর ২নং হোচনাবাদ ৬নং ওয়ার্ড ইউনিয়নের মৃর্ত বাদশা মিয়ার ছেলে।
বিলাইছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন(ওসি) জানান, গ্রেপ্তারকৃত বদি একজন গরু ব্যবসায়ী বলে নিজেকে পরিচয় দেয়। তিনি ভারত সীমান্ত এলাকা হতে জুড়াছড়ি দমদমিয়া গবাইছড়ি ও বরকল হতে অবৈধ পথে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গরুসহ বিভিন্ন পণ্য আনা নেয়া করত।
ভারতীয় মজুড়াছড়ি এবং বিলাইছড়ি থানার সীমান্ত এলাকা দিয়ে দীর্ঘ বছর যাবৎ ধরে অবৈধ মুদ্রা দিয়ে চোরাকারবারী করে আসছে। এছাড়া চোরাই পথে গরু এনে কাপ্তাই উপজেলা নতুনবাজার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও চট্রগ্রামে বেঁচাকেনা করত। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তা স্বীকার করে।
বিলাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন(ওসি) জানান সে দীর্ঘ ৩০/৪০ বছর যাবত গরুর ব্যবসা করে জানি। কিন্ত গরু ব্যবসার আড়ালে সীমান্ত এলাকা হতে কিছু উপজাতীয়দের সাথে আতাঁত করে চোড়াই পথে অবৈধ ভাবে ভারতীয় রুপী নিয়ে চোরাকারবার করে তা জানা ছিল না। এবং বৃদ্ব বলে তাকে কেউ সন্দেহ করতনা।
অবশেষ গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে উক্ত ব্যবসায়ীকে যৌথবাহিনী গ্রেপ্তার করে। এবং যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে চোরাই সিন্ডেকেটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে। গ্রেপ্তার বদির বিরুদ্ধে বিলাইছড়ি থানায় মামলা করে রাঙ্গামটি আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।