চলমান টানা বর্ষার বর্ষণে বিপর্যস্থ জীবনযাত্রার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ ২০ জুন (সোমবার) থেকে এ নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়া, ঝুঁকিতে থাকা পাহাড়ে বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ার জন্য প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিনে উজানের পানি নেমে আসায় মাইনী, কাচালং, কর্নফুলী নদীর স্রোত বেড়েছে। এ অবস্থায় নৌ চলাচল করতে পারছে না। দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকায় আজ ২০ জুন (সোমবার) থেকে যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম জানান, স্রোতের কারণে লঞ্চ চলাচল করতে পারছে না। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক যাত্রীবাহী লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এছাড়া, টানা অতিবর্ষণ ও পাহাড় ধ্বসের আশংকায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রাঙামাটির সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। বন্ধ থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল পরীক্ষা।
এদিকে, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢলে বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সোমবার সকালে কাচালং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে এতে পৌরসভা, আতমলী, রূপকারী ও বঙ্গলতলী ইউনিয়নের আশপাশের প্রায় ১০টি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে, মাছের ঘের ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, টানা বর্ষন ও পাহাড় ধসের প্রাণহানী এড়াতে প্রশাসন থেকে সর্বাত্বক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। প্রশাসনের একাধিক টিম ঝুকির্পণ বসবাসকারীদের সচেতন ও আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার বিষয়ে কাজ করছে।