বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা তিনদিনের অবরোধ পার্বত্য জেলা রাঙামাটির জনজীবনে প্রভাব ফেলেনি। স্থানীয় জনসাধারনের স্বাভাবিক জীবন যাপন সচল রাখতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবিএম আরিফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাঙামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে।
এছাড়াও রাঙামাটির পুুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ-বিপিএম-বারসহ পুলিশের উদ্বর্তন কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বপালনরত পুলিশ সদস্যদের কর্মস্থল পরিদর্শন করে তাদের সাথে কৌশল বিনিময় করেছেন।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাঙামাটির অভ্যন্তরের সকল রুটগুলোসহ নৌ-পথে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিলো। অবরোধের দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাঙামাটি-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহি বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও বেলা ১ টা ৪০ থেকে গাড়ি চলাচল শুরু করেছে বলে পাহাড়িকা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
রাঙামাটির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের সাধারণ জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্যই দায়িত্বপ্রাপ্ত। তারই ধারাবাহিকতায় রাঙামাটি জেলা পুলিশ ও জেলার জনসাধারনের জীবন-মাল রক্ষার জন্য দায়িত্বপালন করে যাচ্ছে। রাঙামাটিতে অন্যান্য দিনের মতোই মানুষের জীবনমান স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে এবং এই পরিস্থিতি বজায় রাখতেই রাঙামাটি জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
এদিকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আরিফুল আমিন জানিয়েছেন রাঙামাটিতে হরতালের সমর্থনে বেআইনিভাবে রাস্তায় জমায়েত হয়ে লাঠিশোঠা নিয়ে অবস্থান করে ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত থাকার অপরাথে এখন পর্যন্ত ১১ জনকে আটক করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। আসামীদের আদালতে সোপর্দ করলে আদালত আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।