সদ্য সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলের সদস্য রাঙামাটির কৃতি ফুটবলার রুপনা চাকমা ও রিতুপর্না চাকমার বাড়িতে গেলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার তিনি এই দুই ফুটবলারের পরিবারের সাথে দেখা করেন এবং জনপ্রতি দেড় লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন। এসময় তিনি তাদের জন্য ঘর ও চলাচলের ব্রীজ নির্মান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
গত সোমবার নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ ওমেনস ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে নেপালকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ। জেলার নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ভুইয়াদম গ্রামের মেয়ে রুপনা চাকমা চ্যাম্পিয়ন দলের গোলরক্ষক, হয়েছেন টুর্ণামেন্টের সেরা গোলরক্ষক। অন্যদিকে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মগাছড়ির মেয়ে রিতুপর্না চাকমা মধ্যমাঠের খেলোয়াড়।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরপরই সারাদেশের মত পাহাড়েও উচ্ছাসের বন্যা বয়ে যায়। প্রশংসার জোয়ারে ভাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। পাহাড়ী এই দুই মেয়ের বন্দনায় সরব থাকা নেটিজেনরা রুপনা ও রিতুর পাশে দাড়াঁতে রাঙামাটি ডিসির সুদৃষ্টি কামনা করেন।
খেলাবান্ধব জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান তাৎক্ষনিক ভাবে কৃতি এই খেলোয়াড়ের পাশে দাঁড়ানো ও তাদের পরিবারের বর্তমান অবস্থা জানার তাগিদ অনুভব করেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি স্বশরীরে দীর্ঘ দুর্গম পথ মাড়িয়ে রুপনা ও রিতুপর্ণা চাকমার বাড়িতে হাজির হন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।
এসময় তিনি রুপনা ও রিতুকে দেড় লক্ষ টাকা করে তিন লক্ষ টাকা, রুপনার বাড়িতে যাওয়ার ব্রীজ, ঘর করে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, রুপনা ও রিতু আমাদের সম্পদ। তারা শুধু বাংলাদেশকে নয়, রাঙামাটির নামও বিশ্বের দরবারে উজ্জল করেছে। একেবারে দুর্গম অঞ্চল থেকে পরিশ্রম, একাগ্রতায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় এবং অনুকরণীয়।
এসময় কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন আরা সুলতানা ও নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফজলুর রহমান, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক নিরুপা দেওয়ান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি বরুন দেওয়ান, স্কাউট কমিশনার নুরুল আবছার উপস্থিত ছিলেন।