এক বছরের জন্য গঠিত রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অবশেষে ৯ বছরে এসে ভাঙছে। গত ১৮ মার্চ এক জরুরি সভার সিদ্ধান্তের আলোকে আজ সোমবার ২৯ এপ্রিল বার্ষিক সম্মেলন করছে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ।
রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে রোববার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মাঠ প্রাঙ্গণে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এসময সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জাব্বার সুজন এর সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান,সহ-সভাপতি শাহেদ খান সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ উক্ত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এই সম্মেলন থেকেই রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করার কথার থাকলেও সম্মেলনে গণতান্ত্রিক উপায়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের কোনো প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়নি। নেতৃবৃন্দ জানিয়েছে, সিলেকশনের মাধ্যমে নতুন কমিটির সভাপতি/সম্পাদকের নাম ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় ছা্ত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৫ সালের ২ জুন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা শাখা ছাত্রলীগের সর্বশেষ বার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল। পরদিন ৩ জুন জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর আব্দুল জব্বার সুজনকে সভাপতি ও প্রকাশ চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এক বছরের জন্য। ২০১৫ সালের ৩ জুন ঘোষিত আংশিক কমিটিতে সাইফুল আলম রাশেদকে সিনিয়র সহসভাপতি, এম এন কাউসার রুমিকে সহসভাপতি, রুবেল চৌধুরীকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মো. সালাউদ্দিন টিপুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা কমিটির মেয়াদ এক বছর হলেও কমিটির ঘোষণার আড়াই বছর ২০১৮ সালের ১১ জানুয়ারি ১৫১ সদস্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। অর্থাৎ মেয়াদ শেষের দেড় বছর পর করা হয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি। প্রতিষ্ঠার ৯ বছর পর সম্মেলন হলেও ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসার সুযোগ না রাখায় তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা চরম হতাশা ব্যক্ত করেছে।