মাঠের খেলায় সময়টা ভালো না গেলেও ব্যাংক হিসাব থেকে সুখবরই পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। সর্বশেষ অর্থবছরে ইংলিশ ক্লাবটি আয় করেছে রেকর্ড ৭১ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকার বেশি। এটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নতুন রেকর্ড। আগের রেকর্ডটিও সিটিরই। ২০২৩ সালের জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে সিটির আয় ছিল ৭১ কোটি ২৮ লাখ পাউন্ড।
ম্যানচেস্টার সিটি আয়ের দিক থেকে রেকর্ডটি গড়েছে এমন বছরে, যেটিতে টানা চতুর্থ লিগ শিরোপা জিতেছে দলটি। জিতেছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ এবং ইউরোপিয়ান সুপার কাপও। তবে ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়নস লিগে থেমেছে সেমিফাইনালেই।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যানচেস্টার সিটি ২০২২-২৩ মৌসুমে ট্রেবল জয়ের বছরের তুলনায় এবার ২২ লাখ বেশি পাউন্ড বেশি আয় করেছে। এর একটি বড় কারণ বেতন বাবদ ১ কোটি ৩০ হাজার পাউন্ড এবার কম খরচ হয়েছে। ব্যয় হ্রাসের পাশাপাশি বাণিজ্যিক খাত থেকে আয়ও বেড়েছে ৩৩ লাখ পাউন্ড। আগের বছর সিটির সব পর্যায়ের চাকুরেদের বেতন বাবদ খরচ ছিল ৪১.২৬ কোটি পাউন্ড, বাণিজ্যিক খাতের আয় ছিল ৩৪.১৪ কোটি পাউন্ড।
করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ২০১৯-২০ মৌসুম বাদে ২০১৪-১৫ থেকে প্রতিবছরই আয় করেছে সিটি। এ সময়ে ইংল্যান্ডের ঘরোয়ায় ৬টি প্রিমিয়ার লিগ, ৫টি লিগ কাপ, ২টি এফএ কাপ ও ৩টি কমিউনিটি শিল্ড জিতেছে ক্লাবটি। একবার করে চ্যাম্পিয়নস লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপও জিতেছে পেপ গার্দিওলার অধীন খেলা দলটি।
ম্যানচেস্টার সিটি জানিয়েছে, ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খেলোয়াড়দের দলবদল থেকে ৯.২৮ কোটি পাউন্ড আয় হয়েছে ক্লাবের। যার মধ্যে আছে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজ, ডিফেন্ডার জোয়াও কানসেলো ও স্ট্রাইকার লিয়াম দেলাপকে বিক্রি করা আয়।
আয়ের সুবাদে সামনের জানুয়ারির দলবদলে খেলোয়াড় কিনতে অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে সিটি। গার্দিওলার জন্য এ সময়ে খেলোয়াড় কেনা দরকারও। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বশেষ ১০ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতেই জিততে না পারা সিটি এখন বাজে সময় পার করছে। প্রিমিয়ার লিগের টানা চারবারের চ্যাম্পিয়নরা লিগ টেবিলে আছে ৪ নম্বরে, চ্যাম্পিয়নস লিগে ৩৬ দলের মধ্যে ২২ নম্বরে।