গ্রীষ্মের শুরুতে সুপেয় পানির তীব্র সংকটে ভোগান্তির শেষ নেই বান্দরবানের আলীকদমবাসীর। বাধ্য হয়ে খাল ও ঝিরি ও ঝর্নার দূষিত পানি পান করছেন বেশিরভাগ মানুষ। এতে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন খাবার পানির জন্য তপ্ত রোদের মধ্যে নলকূপের সামনে কলসি নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ঠাঁই দাড়িয়ে থাকেন আলীকদম সদর ইউনিয়নের মহিলারা। গ্রীষ্মে পানির উৎসগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছেন না তারা। শুষ্ক মৌসুমে পানি পাওয়া যায় এক থেকে দুই কলসি, অনেক সময় তাও পাওয়া যায় না। উপজেলার ৩ নং নয়াপাড়া ও ৪ নং কুরুকপাতা ইউনিয়নের এলাকায় পাহাড়ি পল্লীতেও পানির জন্য হাহাকার বিরাজ করছে। আলীকদমে সদর ইউনিয়নে ৩,৪,৫ নং ওয়ার্ড ও ৩ নং নয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩,৪,৮,৯ নং ওয়ার্ডে এলাকাগুলোতে খাবার ও ব্যবহারের পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। খাবারের পানির সংকট মেটাতে নদীর পানি পান করছে অনেকে।
আলীকদমের ৩ নং ওয়ার্ডের মংশিপু পাড়ার বাসিন্দা মায়েশিং মার্মা জানান, পাড়াতে একটি নলকূপ আছে, তবে নষ্ট হয়ে গেছে গতবছর, পানির তৃষ্ণা মেটাতে পাড়াবাসীরা বাসায় নদী থেকে পানি নিয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আলীকদমে পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ২০১১ সালের ১১ জুন শুরু হলে তখন ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি জলাধার নির্মাণের পর প্রকল্পের কাজ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। পরিত্যক্ত শোধনাগারটি পুনরায় নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশন থেকে ৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ ২০২২ সালের জুনে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু গত বছরের ১২ এপ্রিল উদ্বোধনের দিনই পানি সরবরাহ দেওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়। প্রকল্পের শুরু থেকে দুই দফায় এ পর্যন্ত সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয় হলেও পানি পায়নি আলীকদমবাসী।