বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ এর নামে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ এর পর তার কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিক মুহাম্মদ আবুল কাশেম এর নামে বান্দরবান দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী লক্ষীপদ দাশ।
গত ৯ জুলাই বান্দরবান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাংবাদিক মুহাম্মদ আবুল কাশেম এর নামে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ এর ৪ ধারায় এই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ২৮ মে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় “দলীয় পদ পদবী যেন আলাদীনের চেরাগ” এবং “শুন্য থেকে কোটিপতি লক্ষীপদ দাশ” এবং ২০ জুন “যুগান্তর প্রতিবেদনে তোলপাড়, শুন্য থেকে শত কোটি টাকার মালিক লক্ষীপদ দাশ” নামে ২টি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২টি প্রতিবেদনই দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিক মুহাম্মদ আবুল কাশেম এর নামে প্রকাশিত হয়।
এদিকে প্রতিবেদনগুলি প্রচারের পর সাংবাদিক মুহাম্মদ আবুল কাশেম জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশকে কয়েকবার ফোন দেয় এবং তার সাথে দেখা করতে বলে। এদিকে কয়েকবার ফোনের কারণে সাংবাদিক মুহাম্মদ আবুল কাশেম এর সাথে যোগাযোগ করে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলির একটি প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিক মুহাম্মদ আবুল কাশেম ও লক্ষীপদ দাশ কক্সবাজারের একটি রেস্টুরেন্টে সাক্ষাৎ করিলে সাংবাদিক আবুল কাশেম লক্ষীপদ দাশের কাছ থেকে ৫০লক্ষ টাকা দাবী করেন। অনেক বাক বিতন্ডার পরে ২০লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে সাংবাদিক মুহাম্মদ আবুল কাশেম স্থির করেন।
মামলার এজাহার সুত্রে আরো জানা যায়, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন থেকে পরিত্রাণ পাওয়ায় জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ সাংবাদিক আবুল কাশেমকে ২লক্ষ টাকা প্রদান করে। কিন্তু ২লক্ষ টাকা দেওয়ার পর ও সাংবাদিক আবুল কাশেম সংবাদটির প্রতিবাদলিপি পত্রিকায় প্রকাশ না করে আরো ১৮লক্ষ টাকা প্রদানের জন্য কয়েকবার মোবাইল ফোনে ও ওয়াটসএ্যাপে এ কল করেন।
এদিকে সাংবাদিক মুহাম্মদ আবুল কাশেম এর এমন আচরণে এবং বিভিন্ন সময় ফোনে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চাঁদা দাবি করার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সাক্ষ্যপ্রমান নিয়ে বান্দরবান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মুহাম্মদ আবুল কাশেম এর নামে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ এর ৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ জানান, এই ঘটনায় ক্যামেরায় গৃহিত ছবি, রেকর্ডকৃত কথা’সহ দালিলিক ও প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে অনেক সাক্ষী রয়েছে। আমি এই ঘটনার প্রকৃত বিচার চাই।