বান্দরবানে তিন উপজেলা সোনালী ব্যাংক সচল হলেও রুমা-রোয়াংছড়ি-থানচিতে সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নিরাপত্তা জনিত কারনে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনালী ব্যাংক কতৃপক্ষ। তবে জেলার অন্য সব ব্যাংকের কার্যক্রম যথারীতি চালু আছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওসমান গণি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে রুমা সোনালী ব্যাংকে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪ টি আগ্নে অস্ত্র লুটপাট করে। ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টায় থানচি সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায়। এসময় প্রথম অবস্থায় সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা শোনা গেলেও পরে গননা করে দেখা যায় ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯২ টাকা নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। সব মিলিয়ে গ্রাহক ও কর্মচারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রোয়াংছড়ি-রুমা ও থানছি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক এর কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অপহরণের শিকার ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে বৃহস্পতিবার বেলা একটা পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, অপহরেণর শিকার ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে, সব ধরনের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সভা কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সাথে শান্তি কমিটির শান্তি আলোচনা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শান্তি কমিটির আহব্বায়ক ক্য শৈ হ্লা।
