বান্দরবান সেনাবাহিনী সদর জোনের উদ্যোগে খাবার পানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার্য পানি নিয়মিতভাবে সরবরাহ করে যাচ্ছেন চিম্বুক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ কে।
আজ সোমবার (০৯ মে) বান্দরবান সেনা জোনের উদ্যোগে একটি টহল দল কর্তৃক বর্তমান সময়ে গ্রীষ্মকালীন পানিশূন্যতায় ভুক্তভোগী চিম্বুক ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জনসাধারণের মধ্যে আবারও সুপেয় ও বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য পানি প্রদান করা হয়েছে।
নিয়মিত পানি প্রদান করলেও পানির সংকট নিরসন না হওয়ায় স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করার জন্য বান্দরবান সেনা জোন বিভিন্ন মেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
বর্তমান তীব্র গ্রীষ্মের তাপদাহে সমতল ভূমির পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাপক হারে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিনিয়ত ই পার্বত্য অঞ্চলের জীবন যুদ্ধে হার না মানা নিরীহ মানুষগুলো পানির বিরুদ্ধে কঠিন সংগ্রাম করে যাচ্ছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সুনজরে নিয়ে আসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বান্দরবান সেনা জোনের আওতাধীন চিম্বুক ও তার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় বান্দরবান সেনা জোনের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাহমুদুল হাসান পি এস সির নির্দেশে বান্দরবান সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক এস এম মেজর মাহমুদুল হাসান , সরজমিনে ভুক্তভোগী পাড়া গুলো পরিদর্শন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে পানি সংকট নিরসনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
পানি সংকটের বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করায় এর সমাধান হিসেবে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে নিয়মিত ওয়াটার বাউজার এবং ট্রেইলারের মাধ্যমে পানিশূন্য পাড়ায় পানি প্রদান করা হবে। এছাড়াও স্বল্প পরিসরে যে পানির সংরক্ষণ ব্যবস্থা গুলো রয়েছে পাড়াভিত্তিক সেগুলোর মান উন্নয়ন করে অধিক পানি সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও এই সংকট নিরসনের উপায় হিসেবে প্রায় ১৬ টি পাড়ায় পরিদর্শন ও মতবিনিময় শেষে পাড়াগুলোর পানি নিরসন সংকটের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে বান্দরবান সেনা জোন। এরমধ্যে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর জন্য হাউস স্থাপন, পাড়া ভিত্তিক প্রয়োজনীয় পানির পাইপ প্রদান , উপযুক্ত নির্ধারিত জায়গায় পানির ট্যাঙ্ক স্থাপন ,অধিক গভীরতা থেকে পানি উত্তোলন করার জন্য উন্নত মটর ও সবমার্সিবল পাম্প স্থাপন সহ আলোচনায় উঠে আসা সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সেনা প্রতিনিধি জানান।
বান্দরবান সেনা জোনের এই জনহিতকর কার্যাবলী কে সাধুবাদ জানিয়েছেন বান্দরবান জেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এছাড়া কঠিন মুহূর্তে পানি আল্লাহর নেয়ামত বলে অভিহিত করেছেন সুবিধা প্রাপ্ত জনসাধারনেরা।