বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলায় গত ২ ও ৩ এপ্রিল ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় চাঁদের গাড়ি চালক ও ৩ কেএনএফের সদস্যসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গত রবিবার (৭ এপ্রিল) রাতে থানচি ও বান্দরবান সদর এলাকার সুয়ালক চেকপোস্টে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। অন্যদিকে আজ সোমবার সকালে জেলার দুই উপজেলায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৪টি আধুনিক সাঁজোয়া যান পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলার থানচি ও রুমার ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট এর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে থানচি থেকে গাড়ি চালক মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সাগর (২৮) কে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী । সে উপজেলার টিএনন্টি পাড়া এলাকার মো. ইউছুফের ছেলে। জেলার সদর উপজেলার সুয়ালক থেকে ভানুনুন নুয়াম বমকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোয়াংছড়ির ১ নং রোয়াংছড়ি ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড রৌনিন পাড়া এলাকার জিংচুন নুং বমের ছেলে এবং অপর দুই গ্রেপ্তারকৃত জেমিনিউ বম ও আমে লনচেও বম থানচির ৩নং সদর ইউপির ৯নম্বর ওয়ার্ড সিমতাংপি পাড়া লাল মুন চম বমের ছেলে-মেয়ে।
এবিষয়ে সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, গত রবিবার রাতে থানচি ও বান্দরবান সদরের সুয়ালক চেক পোষ্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যাংক ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি-চালকসহ মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে, তাদের নামে মামলা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলাগুলোতে অভিযানের অংশ হিসাবে রুমা ও থানচি উপজেলার জন্য ৪টি সাঁজোয়া যান (এপিসি) আনা হয়েছে, ইতিমধ্যে সেগুলো সোমবার পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় করে (এপিসি) আরও বাড়ানো হবে।
অপরদিকে রুমা বাস মালিক সমিতির লাইন ম্যান জাকির হোসেন জানান, সকাল থেকে রুমায় গণপরিবহনসহ অভ্যন্তরীণ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে, প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে স্থানীয়রা কেউ বের হচ্ছেনা।
প্রসঙ্গত, ৮ এপ্রিল সোমবার বিকাল ৫টা থেকে বান্দরবানের রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি এলাকা সমূহের সকল ধরনের যান চলাচলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেএনএফ।