এলজিইডি কর্তাব্যক্তিরা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের খেয়ালখুশি মতো কোটেশনের মাধ্যমে ঠিকাদার দিয়েই কাজ বাস্তবায়ন চলছে। ঘটনাটি বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ২০২৩-’২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায় গৃহীত ৯টি প্রকল্পের কাজে।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে এডিপি থেকে তিন কিস্তিতে আলীকদম উপজেলায় ১ কোটি ২২ লাখ টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ২৭টি প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। অবশিষ্ট বরাদ্দ থেকে ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কোটেশানে ৯টি প্রকল্প এবং ৩৪ লাখ টাকা ১৭টি প্রকল্প তালিকায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষর করেন উপজেলা প্রকৌশলী, ইউএনও এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। তবে এই কোটেশনের জালিয়াতি কাজগুলো ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুখে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
জেঁকেবসা অনিয়মে আলীকদম এলজিইডি এখন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এ সরকারি প্রতিষ্ঠানে মূল কর্তাব্যক্তির খেয়ালীপনায় সহকারি প্রকৌশলী শরিফের অদৃশ্য ইশারায় চলছে সব কাজ। বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় হওয়ায় সরকারি অর্থের লোপাটের সব আয়োজন তার ইন্ধনে হচ্ছে। প্রকল্প বাছাই, প্রস্তুতকরণ ও অনুমোদন পদ্ধতিতে মানা হয় না স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশিকা। কর্তাব্যক্তিরা নিজের আখের গোছাতে মনগড়া প্রকল্প গ্রহণ করেন। এ যেন ‘লাগবে টাকা দেবে গৌরিসেন’ প্রবাদের মতো। এর আগে উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে এডিপির প্রকল্প গ্রহণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।