খেলায় হারলে বসে থাকা যাবে না। প্রতিযোগিদের মধ্যে পুরস্কার না পেলেও মন খারাপ করার কোনো সুযোগ নেই। এ পুরস্কার না পাওয়া বেদনার অভিজ্ঞতা নিয়ে তাকে প্রস্তুত নিয়ে সামনের দিকে আগাতে হবে। এখান থেকে অনেক শিক্ষা নিতে হবে, থেমে থাকা যাবেনা, আরও অনেক অনুশীলন করতে হবে।
বান্দরবানের রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন শিবলী অ্যাথলেটিস প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বান্দরবানের রুমায় (২৩শে জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই অ্যাথলেটিস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বান্দরবানের রুমা উপজেলা প্রশাসন আয়োজনে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিস প্রতিযোগিতায় রুমার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাথীরা স্বত;স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করে।
এ প্রতিযোগিতায় খেলাধুলার আইটেমের মধ্যে ছিল-বালক বালিকার হাইজাম্প, লং জাম্প, রিলে, গোলক নিক্ষেপ, বালক-বালিকা ১০০মিটার দৌঁড়, ২০০মিটার দৌঁড়। এছাড়াও চাক্কি নিক্ষেপ ও মশাল নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার (ইউআরসি) ইন্সট্রাক্টর মোঃ কাওসার উল ইসলাম, রুমা থানা উপ-পরিদর্শক রুহুল আমিন, রুমা সরকারি ইচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজ ও জর্জ লাটান জোয়াল বম।
বিজয়ী প্রতিযোগিদের উদ্দেশ্য ইউএনও আরো বলেন, এখানে কিন্তু শেষ না, সামনে অনেক খেলার অংশগ্রহণ করতে হবে। আর জেলা পর্যায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। আরও অনেক অনুশীলন করতে হবে। রুমা উপজেলার মান রাখতে হবে।
পরবর্তীতে ক্যাম্প উদযাপনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঘোষণা করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন শিবলী।
প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। বিভিন্ন আইটেমের খেলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রুমা আবাসিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক রুপম কান্তি দে, রুমা বাজার আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ক্রীড়া সংগঠক মংমং মারমা, বরেন ত্রিপুরা ও শিক্ষক পিপলু ত্রিপুরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ প্রতিযোগিতায় তুলনামূলক প্রতিযোগিতায় ভাল করছে, তাদের জেলার পর্যায়ে অ্যাথলেটিস প্রতিযোগিতায় পাঠানো হবে।