নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি সীমান্ত থেকে ৭টি বার্মিজ গরু, ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকাসহ ৩ চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর লেম্বুছড়ি বিওপি কর্তৃক এদের আটক করা হয়।
উদ্ধারকৃত বার্মিজ গরুর আনুমানিক বাজার মূল্য-৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত। আটককৃত আসামি, নগদ টাকা এবং বার্মিজ গরু নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন বিজিবি।
আটককৃত আসামিরা হলেন- কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দোছড়ি গ্রামের মৃত্যু মিয়া হোসেনের ছেলে মো. ফরিদুল ইসলাম (৭৫)। ফরিদুল আলম, গরু পাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য। তার মাধ্যমে লাখ লাখ বাংলাদেশি টাকা পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করা হচ্ছে। অন্য আসামিরা হলেন- কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তিতার পাড়া গ্রামের নুর আহামেদর ছেলে, মো. আব্দুর রশিদ (৪৫) এবং দোছড়ি গ্রামের মোক্তারের ছেলে মো. রাসেল (১৮)। নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির জোন কমান্ডার মো. রেজাউল করিম।
বিজিবি জানায়, সীমান্ত পথে অবৈধভাবে আসা গবাদিপশু চোরাচালানী কার্যক্রম কঠোর হস্তে দমন করা হবে। দেশের স্বার্থে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র মাদক ও চোরাচালান বিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধ ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সরকারের মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে, মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সঠিক দিক নির্দেশনা, রিজিয়ন কমান্ডার ও সেক্টর কমান্ডারের অনুপ্রেরণা এবং ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত থাকবে।