বান্দরবানে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরাতে মাইকিং
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 18-06-2022
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ী এলাকা বান্দরবানের জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশংকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে সরাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মাইকিং করছে স্থানীয় প্রশাসন।

এদিকে আজ ১৮ জুন (শনিবার) পাহাড় ধসে ক্ষয়-ক্ষতি ও জানমাল রক্ষার্থে  বিকেল থেকে বান্দরবানে পাহাড়ের পাদদেশ ঝুকিপূর্ণ পরিবারদের নিরাপদে সরে যেতে বান্দরবান পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে এ মাইকিং করছে। জেলা সদরের হাফেজঘোনা, ইসলামপুর, কালাঘাটা, বড়ুয়ারটেক,বালাঘাটাসহ বিভিন্ন পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে ঘুরে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে মাইকিং করে সতর্ক করে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে।

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী জানান, প্রতিবছর এ সময় প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও পাহাড় ধস দেখা দেয় আর সেই সাথে সাথে পাহাড় ধসে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে, তাই পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বান্দরবান পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে এবং প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের আমরা সার্বিক বিষয় তদারকির জন্য নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে জেলার লামা পৌরসভা এলাকায় যারা পাহাড়ে কিংবা সমতলে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য ও সতর্ক থাকতে রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের মাধ্যমে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তাগাদা দেওয়ার পাশাপাশি সব ধরণে দুর্যোগ মোকাবেলায় পৌরসভা প্রস্তুত আছে বলে জানান, লামা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ হোসেন বাদশা।

পাহাড়ে চূড়া ও পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী পরিবারগুলোকে নিরাপদে সরে যেতে ও সতর্ক অবস্থায় থাকতে শুক্রবার থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানান, সহকারী তথ্য অফিসার খন্দকার তৌহিদ।

এই ব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপুর্ণ বসবাসকারীদেরকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেও তাগাদা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে খোলা রাখতে নির্দেশনা দেয়া
হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বান্দরবান জেলার পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে অন্তত ৪০ হাজার পরিবার। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। জেলার সাথে উপজেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

শেয়ার করুন