বান্দরবানের রুমা উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, আতঙ্কে পারতপক্ষে ঘর থেকে বের হচ্ছেনা স্থানীয়রা। আজ রবিবার সকাল থেকে রুমার অভ্যন্তরীন সড়কে সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রুমা বাস মালিক সমিতির লাইনম্যান মো.জাকির এতথ্য নিশ্চিত করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে বান্দরবান-রুমা সড়কে গণপরিবহন চলাচল করলেও উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে স্থানীয়দের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতির কারনে ঈদ, বর্ষবরণ ও মারমা সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব সাংগ্রাইকে সামনে রেখেও বাজারে কেনাকাটা করতে আসতে দেখা যাচ্ছেনা স্থানীয়দের।
রুমা বাজারের ব্যবসায়ী রাজিব জানান, রুমার ঘটনার পর থেকে আতংকে বাজার এলাকায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ রয়েছে, স্থানীয়রাও দূর-দূরন্ত থেকে বাজারে আসছেনা, ফলে বাজারের অনেক কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
রুমার পরিবহণ মালিক সমিতির লাইনম্যান মো.জাকির জানান, রবিবার সকাল থেকে বান্দরবান-রুমায় গণপরিবহন চলাচল করলেও অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে, অন্যদিকে যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছেনা।
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে রুমা উপজেলায় হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা ব্যাংকে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ১৪টি অস্ত্রও লুট করে। একইসঙ্গে মসজিদ থেকে রুমা শাখার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় পরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। গত ৩ এপ্রিল বুধবার দিন দুপুরে থানচির কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে কেএনএফ সদস্যরা হামলা করে প্রায় ১৫ লাখ টাকা লুট করে এবং গত ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা দিকে সোনালী ব্যাংক, বাজারের আশেপাশে পুলিশের সাথে গুলি বিনিময় হয় কেএনএফ এর।
এই বিষয়ে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহজাহান জানান, রুমা বাজার এলাকায় এখনও আংশিক ভাবে দোকান বন্ধ রয়েছে, সব সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকার কথা।