কয়েকটি প্রতিবেশী দেশের জঙ্গী তৎপরতা বিষয়ে গোপন বার্তা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উগ্রবাদীদের তৎপরতার কারণে পয়লা বৈশাখে রমনা বটমূল ও মঙ্গল শোভাযাত্রায় জঙ্গী হামলার আশঙ্কা করছে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ ডিএমপি।
পয়লা বৈশাখ বাঙ্গালির চিরায়ত উৎসব বাংলা নববর্ষ। রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ আর ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন অন্যদিকে চলছে নিরাপত্তা প্রস্তুতি।
আজ ১২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রমনায় দুপুরে সেই নিরাপত্তা প্রস্ততি দেখতে আসেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার। সম্ভাব্য জঙ্গী হামলা ঠেকাতে বিশেষ বাহিনীর মহড়া দেখেন তিনি।পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকটি প্রতিবেশী দেশ জঙ্গী তৎপরতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। জঙ্গী তৎপরতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তারা ধারণা করছেন। আর সেই প্রেক্ষিতেই ডিএমপি’র পক্ষ থেকে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেও এ ধরনে কিছু জঙ্গী তৎপরতা বেড়ে গেছে। আর এ কারণেই এই বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় সাধারণত অনেক মানুষ থাকে, যার ফলে যে কোন সময় বাইরে থেকে একজন ঢুকে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি জানান, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দফায় দফায় সুইপিং করছে নিরাপত্তা কর্মীরা। বোমা নিস্ক্রিয়করণ দল ছাড়াও প্রস্তত থাকছে বিশেষ বাহিনী ষ্পেশাল ইউপন এন্ড ট্যাকটিস সোয়াট।
রমনা বটমূল এবং এর আশপাশ এলাকায় পহেলা বৈশাখের সব কার্যক্রম বেলা দুইটার মধ্যে শেষ করতে হবে বলেও জানান তিনি।