কুয়েটে আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণার পর ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 26-02-2025
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিন্ডিকেট সভায় সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে যাচ্ছেন। আজ বুধবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভায় সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গতকাল রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, প্রশাসনের হল ছাড়ার নির্দেশের পর তাঁরা আর নিরাপদ বোধ করছেন না। সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল বাড়ি চলে যাচ্ছেন। তবে আজ সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত আবাসিক হলে কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী অবস্থান করছিলেন।

এদিকে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আজ সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় কুয়েট পুরোপুরি বন্ধের ঘোষণা আসে গতকাল। এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের অপর এক সভায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তাঁর বাসভবনে আবারও তালা লাগাতে গিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁরা তালা না লাগিয়ে সেখান থেকে ফিরে যান।

১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক আহত হন। পরের দিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংঘর্ষের ওই ঘটনার তদন্তে কমিটিও করা হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে খানজাহান আলী থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনকে লাল কার্ড দেখান শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তাঁরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। গত রোববার শিক্ষার্থীরা খুলনা থেকে ঢাকায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন। এতে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়।

শেয়ার করুন