গাজী টায়ারস কারখানায় লুটপাট-আগুনের ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানের দাবিতে সড়ক অবরোধ
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 29-12-2024
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ারস কারখানায় হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানের দাবিতে স্বজনেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের চানমারীতে অবস্থিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনাস্থলে এসে তাঁদেরকে বুঝিয়ে সরিয়ে দিলে সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৫ আগস্ট রূপগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর মালিকানাধীন গাজী টায়ারস কারখানায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিখোঁজ হন অনেকে। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানের দাবিতে স্বজনেরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে অবস্থান নেন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের ছবি হাতে নিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুরা বিক্ষোভ করে। এতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাফর সাদিক চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে তাঁদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। স্বজনেরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

গাজী টায়ারস কারখানায় আগুন ও লুটপাটের ঘটনায় তদন্ত কমিটি ১৮২ জন নিখোঁজের তালিকাসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক। প্রথম আলোকে তিনি জানান, নিখোঁজের বিষয়টি যাচাইয়ে ও তাঁদের ভাগ্যে কী ঘটেছিল, তা জানতে পুলিশ সুপারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘গাজী টায়ারস কারখানায় আগুনে নিখোঁজের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী নিখোঁজের তালিকা যাচাইয়ে পুলিশ একটি জিডি করেছে। ওই জিডির সূত্রে তদন্তকাজ চলছে। আমরা স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তদন্তকাজ চলছে, তদন্ত শেষ হলে শিগগিরই এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।’

শেয়ার করুন