গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকায় টি এন জেড অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন।
আজ শনিবার সকাল পৌনে ৯টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। কর্মস্থল ও গন্তব্যে পৌঁছাতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
এ ছাড়া আজ সকাল থেকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকায় এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামের আরেকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা ১৭ দফা দাবিতে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন। পুলিশ তাঁদের বুঝিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।
আন্দোলনসহ নানা কারণে গাজীপুরে ১০টি কারখানা বন্ধ থাকার কথা নিশ্চিত করেছে জেলা শিল্প পুলিশ।
কারখানার শ্রমিক ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকায় অবস্থিত টি এন জেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের গত তিন মাসের বেতন বকেয়া আছে। শ্রমিকেরা তিন মাস ধরেই বেতন দাবি করলেও কর্তৃপক্ষ ‘দিচ্ছি-দেব’ বলে কালক্ষেপণ করছে। ২৮ অক্টোবর শ্রমিকেরা আন্দোলন করলে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করে। তখন পুলিশ জানায়, নভেম্বরের ৩ তারিখ বেতন পরিশোধ করা হবে। সেই দিন শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ৫ নভেম্বর আবার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করলে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এ বিষয়ে সমাধান করার আশ্বাস দিলে তাঁরা ফিরে যান। মাসের ৯ তারিখ হয়ে গেলেও শ্রমিকেরা বেতন পাচ্ছেন না। তা ছাড়া কারখানা বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ আছে। এ কারণে আজ সকালে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। একপর্যায়ে তাঁরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। এতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তীব্র দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকেরা।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারখানার মালিক আমাদের দিয়ে কয়েকবার বেতন দেওয়ার সময় দিয়েছে। কিন্তু মালিক সেই কথা রাখেনি। মালিককে নিয়ে বিজিএমইএ ভবনে বৈঠক হয়েছে তারপরও বেতন দিচ্ছে না। আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ শ্রমিক আন্দোলনসহ নানা কারণে আজ জেলার ১০টি কারখানা বন্ধ আছে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামের আরেকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সকাল থেকে ১৭ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। তবে তাঁরা কোনো সড়ক অবরোধ করেননি।
কোনাবাড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে।