আগামীকাল ১৫ জুন (বুধবার) গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন। এই নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ছিলেন ১০ জন। তার মধ্যে ৯ জনই নির্বাচন থেকে সরে গিয়েছে। এখন মেয়র পদে আছে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শেখ রকিব হোসেন। এজন্য তার কোন প্রতিদন্দিও এখন আর নেই।
গতকাল ১৩ জুন (সোমবার) রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ দিদারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে যান। একই সাথে তিনি মেয়র প্রার্থী শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন জানান।
শেখ রকিব নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে লড়ছিলেন। মোঃ দিদারুল ইসলাম সমর্থন দেওয়ার পার তাঁর আর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকল না।
গত ৬ জুন মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী পপা সর্ব প্রথম শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনী মাঠ ছাড়েন। এরপর একে একে নির্বাচন থেকে সরে যান আট প্রার্থী।
গত শুক্রবার দুপুরে শহরের চৌরঙ্গী এলাকায় জনসমাবেশ করে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জিএম সাহাবুদ্দিন আজম এবং বিকেলে শহরতলীর সোনাকূড় নিজ বসত বাড়িতে সাবেক মেয়র জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মোঃ রেজাউল হক শিকদার রাজু সরে যান। তাঁরাও শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন জানান।
রাতে শহরের শিকদার পাড়ার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে আরেক স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী দীলিপ কুমার সাহা দিপু নির্বাচন থেকে সরে যান।
পরদিন শনিবার বিকেলে মিয়াপাড়া নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী এস এম নজরুল ইসলাম ও আবুল ফাত্তাহ সজু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
গত ১২ জুন রবিবার বিকেলে মোহাম্মদপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে পৌর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকু। এ সময় তিনি শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন জানান। পরে সড়ে যান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাস-মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুশফিকুর রহমান লিটন। আর গতকাল রাতে শেখ রকিবকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ দিদারুল ইসলাম।