হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলায় কালবৈশাখি ঝড় ও বজ্রপাতের তিন শিশুসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বজ্রপাতে দুই শিশুসহ তিনজন, সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে বাবা-ছেলে এবং সুনামগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের উপর গাছ পড়ে দুই সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু হয়।
আজ ১৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) এপ্রিল ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত পৃথক স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা সদরের শাল্লা গ্রামে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মকবুল খাঁ (৪৫) ও তার ছেলে মাসুদ খাঁ (১২) মারা যায়। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বজ্রপাতে মারা যান দুই শিশুসহ তিনজন। এদের মধ্যে রয়েছেন- বানিয়াচং উপজেলা সদরের তিন নম্বর দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়নের তাতারী মহল্লার বাসিন্দা আক্কেল আলীর ছেলে হোসাইন আহমেদ (১২), একই মহল্লার আব্দুর রহমানের মেয়ে রুমা আক্তার (১২) ও খাগাউড়া ইউনিয়নের এড়ালিয়া গ্রামের সামছুল মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২৬)।
স্থানীয়রা জানান, রুমা ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সকাল ৭টার দিকে সে বাড়ির পাশের মাঠে লাকড়ি শুকাচ্ছিল। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই রুমার মৃত্যু হয়।
সকালে বানিয়াচং উপজেলার এড়ালিয়া গ্রামে হোসাইন আহমদ ও আলমগীর মিয়া নিজেদের এলাকার হাওরে কৃষি কাজ করছিলেন। পৃথক স্থানে দুজন বজ্রপাতে আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কালবৈশাখি ঝড়ে গাছচাপায় দুই শিশুসহ মায়ের মৃত্যু হয়। ভোরে উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের সোলেমানপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- মাহিমা আক্তার (৩৫), তার মেয়ে মৌসুমি বেগম (৪) এবং ছেলে হোসেন মিয়া (১)। এ সময় মহিমা আক্তারের স্বামী হারুন মিয়া (৪০) আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, মধ্যরাত থেকেই বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় হচ্ছিল। ঝড় সারারাত চলার পর ভোরে হারুন মিয়ার ঘরের উপর গাছ ভেঙে পড়ে। এ সময় ঘরে থাকা তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের মৃত্যু হয়। জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শশাঙ্ক পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।