নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলে ঝটিকা মিছিল করেছেন কিছু নেতা-কর্মী। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।
আজ শনিবার সকাল সাতটার দিকে নিরালা মোড় এলাকা থেকে ঝটিকা মিছিলটি বের করা হয়। টাঙ্গাইল শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মীর ওয়াছেদুল হক ওরফে তানজীলের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন এ মিছিলে অংশ নেন। তাঁরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে গিয়ে আগস্টে ভেঙে ফেলা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির ওপর বঙ্গবন্ধুর একটি ছবি টাঙিয়ে তাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তাঁরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শুভ শুভ শুভদিন, ছাত্রলীগের জন্মদিন’, ‘আজকের এই দিনে মুজিব তোমায় মনে পড়ে’—স্লোগান দিয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মীর ওয়াছেদুল হকসহ মিছিলে অংশ নেওয়া অনেকেই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল শহর শাখার নেতা-কর্মী। তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে গত আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা রয়েছে। ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর থেকে তাঁরা আত্মগোপনে আছেন।
ছাত্রলীগের মিছিলের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রপ্রতিনিধি আবু শেরশাহ আহম্মেদ সকালে তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ সংগঠনের লোকজন কার্যক্রম চালাচ্ছে। আন্দোলনের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলাকারীরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাহলে প্রশাসন কী করে?’
ছাত্র ফেডারেশনের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি ফাতেমা রহমান ফেসবুকে ছাত্রলীগের মিছিল ও পুষ্পস্তবক অর্পণের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘টাঙ্গাইল ছাত্রলীগের আজকের মিছিল এটা। শহর ছাত্রলীগের সভাপতি তানজীলসহ বাকি গুন্ডা বাহিনী দিব্যি ঘুরে বেড়ায়, উদ্যানে এসে মুড়ি খেয়ে যায়। তাহলে টাঙ্গাইলের প্রশাসন আসলে কী করে?’
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মদ বলেন, আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে পুষ্পস্তবক অর্পণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ছাত্রলীগ আগের ছবি দিয়ে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে।
ওসির বক্তব্যের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রপ্রতিনিধি আবু শেরশাহ আহম্মেদ বলেন, প্রশাসন দায়িত্ব এড়ানোর জন্য এসব কথা বলছে।