ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন (৫২) পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বজনেরা। তাঁরা জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে নাসিরউদ্দিন একটি মাইক্রোবাসে করে থানায় গেছেন।
তবে থানা–পুলিশের দাবি, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাশের গোপালগঞ্জ জেলা থেকে মো. নাসিরউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল সড়কে নিজের টিন বিক্রির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে নাসিরউদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর বেলা দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে তিনি থানা থেকে পালিয়ে যান। এরপর তাঁর বড় ভাই স্থানীয় বাকাইল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নবাব আলীকে (৫৫) থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এ সম্পর্কে আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা নাসিরউদ্দিন আত্মসমর্পণ করেননি; গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গোপালগঞ্জ থেকে ধরে এনেছে। তাঁকে বিস্ফোরক কিংবা অন্য কোনো আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হবে তা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ওসি হারুন অর রশিদ আরও বলেন, নাসিরউদ্দিনের ভাই নবাব আলী এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন। তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে নাকি গ্রেপ্তার দেখানো হবে—এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নাসিরউদ্দিনের ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাই নাসিরউদ্দিন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আজ সকালে আলফাডাঙ্গা থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। ভয় পেয়ে ভাই থানা থেকে পালিয়ে যান। আমরা তাঁকে বহু খোঁজাখুঁজি করি। তাঁর সঙ্গে মুঠোফোন ছিল না; যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। আজ ভোরে তাঁর অবস্থান শনাক্ত করার পর তাঁকে থানায় আত্মসমর্পণ করার পারিবারিক সিদ্ধান্তের কথা জানাই। এরপর তিনি আত্মসমর্পণ করেন।’
তৈয়বুর রহমান আরও বলেন, ‘আমার ভাই রাজনীতি করেন; কিন্তু কোনো মামলার আসামি নন। তিনি কেন পালিয়ে বেড়াবেন? আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’