দুই নারীর খণ্ডিত দেহ উদ্ধারে বুড়িগঙ্গায় দিনভর ডুবুরি দলের তল্লাশি
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 29-04-2025
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার কেরানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর তিন খুনের ঘটনায় নিহত দুই নারী বীথি আক্তার ও নূপুর আক্তারের মাথাসহ খণ্ডিত মরদেহের অন্যান্য অংশ উদ্ধারে বুড়িগঙ্গা নদীতে দিনভর তল্লাশি চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

গ্রেপ্তার মহিউদ্দিন হাওলাদার ওরফে শিমুলের দেখানো জায়গা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু (পোস্তগোলা) এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তল্লাশি চালানো হয়।

বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রেপ্তার মহিউদ্দিনকে পুলিশ সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন। তাঁর দেখানো জায়গা অনুযায়ী ডুবুরিরা নদীর বিভিন্ন অংশে ডুব দিয়ে মরদেহের খণ্ডিত অংশ খোঁজার চেষ্টা করছেন। এ সময় নদীর তীরজুড়ে ছিল উৎসুক মানুষের ভিড়।

 

ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালন করছিলেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইবনে ফরহাদ ও কামরুল ইসলাম। মোহাম্মদ ইবনে ফরহাদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার মহিউদ্দিনের দেওয়া তথ্যমতে, হত্যার পর নিহত বীথি ও নূপুরের মাথাসহ শরীরের অন্যান্য অংশ পলিথিনে মুড়ে পোস্তগোলা সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। মরদেহের সেই অংশগুলা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। মামলার স্বার্থে নিহত ব্যক্তিদের মাথাসহ মরদেহের অবশিষ্ট অংশ পাওয়া জরুরি। তাই আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা নদীতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন।’

২৫ এপ্রিল কেরানীগঞ্জে সাবেক স্ত্রী বীথি আক্তার, বীথির চার বছরের শিশুসন্তান মো. রাফসান ও সাবলেট ভাড়াটিয়া নূপুর আক্তারকে হত্যা করে মরদেহ টুকরা টুকরা করে সড়ক, ঝোপঝাড় ও নদীতে ফেলে দেন মহিউদ্দিন হাওলাদার। ইতিমধ্যে শিশুর পূর্ণাঙ্গ মরদেহ ও নূপুরের মাথাবিহীন মরদেহের একটি অংশ উদ্ধার করা গেছে। বীথি ও নূপুরের মাথাসহ শরীরের অন্য অংশ এখনো পাওয়া যায়নি।

 

আজকের অভিযানে মরদেহের কোনো অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান এসআই মোহাম্মদ ইবনে ফরহাদ। আগামীকাল আবারও তল্লাশি অভিযান চালানো হবে। মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাবে পুলিশ।


 

শেয়ার করুন