আজ ৩০ এপ্রিল (শুক্রবার) সাপ্তাহিক, মে দিবস এবং ঈদ উল ফিতরের ছুটিসহ টানা ৬ দিন ছুটির প্রথম দিনে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার ঘাটে বেড়েছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে। প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ভোর থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় রয়েছে।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল থেকেই ঘাট এলাকায় ঘরমুখী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। প্রতিটি নৌযানেই অতিরিক্ত যাত্রীদের ভিড়। লঞ্চ ও স্পিডবোট থেকে নেমে যাত্রীরা গন্তব্যের পরিবহনে উঠছেন। দূরপাল্লার যানবাহনে উঠতে বাস কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের লাইনেও দাঁড়াতে হচ্ছে।
সূত্রটি জানায়, যাত্রীদের চাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে রাত ১০টা পর্যন্ত চালু থাকছে লঞ্চ চলাচল। এ বছর ঘরমুখী যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাত সাড়ে ৮টার পরিবর্তে ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করবে। ভোর সাড়ে ৬টা থেকে টানা প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত লঞ্চ চলবে এবং ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে স্পিডবোট।
বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্র জানায়, আজ ৩০ এপ্রিল (শুক্রবার) ভোর থেকে লঞ্চ, স্পিডবোটে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়। ফেরিতে উঠতেও গাড়ির লম্বা সিরিয়াল রয়েছে। লঞ্চগুলোতে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া থেকে লঞ্চগুলো বাংলাবাজার ঘাটে এসে ভিড়ছে। যাত্রীচাপ বাড়ায় বাংলাবাজার ঘাট থেকে অনেকটাই যাত্রীশূন্য লঞ্চ শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় লঞ্চে যাত্রীদের চাপ বেশি হচ্ছে।েএ সময় ৮৭টি লঞ্চ চালু রয়েছে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চালু থাকছে। আমরা সকল নৌযানে বাড়তি যাত্রী বহনে সব সময় নিষেধ করে থাকি। তাছাড়া বাংলাবাজার ঘাট থেকে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নেওয়া হয় না। তবে যাত্রীচাপ বেশি থাকায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে লঞ্চে কিছু বাড়তি যাত্রী বহন করা হচ্ছে।