দেশের ছয় জেলায় বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই সংস্থাটি জানিয়েছে, এসব এলাকার নদ-নদীগুলো বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ছয় জেলার মধ্যে পাঁচটিই হাওর অঞ্চলের জেলা।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণেই মূলত দেশের ছয় জেলায় বন্যা হতে পারে। এর মধ্যে আছে ফেনী, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট ও নেত্রকোনা। ফেনী বাদ দিয়ে বাকি পাঁচ জেলা হাওর অঞ্চলের।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ইতিমধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইছে। ইতিমধ্যে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে। এরই মধ্যে বন্যার পূর্বাভাস এল।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, ধলাই, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে। এসব নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ সময় সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় এসব নদী–সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, আগামী দুই দিন চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী ও ফেনী নদীর পানি বাড়তে পারে। এই সময় মুহুরী নদীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ সময় ফেনী জেলার মুহুরী নদীর সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। দুদিন পর এই নদীর পানি কমে আসতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে।
প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া আজ বলেন, তিস্তা ও ধরলার পানি বাড়লেও সেখানে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা নেই।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র বলছে, আগামী দুই দিন পর্যন্ত বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় জোয়ার দেখা যেতে পারে।