কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে হুমায়ুন আহমেদ নামের এক প্রবাসী ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হুমায়ুন আহমেদ (৪১) উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের শিমুলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রীর নাম মৌসুমী বেগম (৩০)। ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে আসামি করা হয়েছে বলে বাদী জানিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মেয়েটির বয়স ১৯ বছর। হুমায়ুন থাকেন দুবাইয়ে। মুঠোফোনে দুজনের পরিচয় হয়। কথাবার্তা থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কথা ছিল হুমায়ুন দেশে এসে বিয়ে করবেন। তিন মাস আগে হুমায়ুন দেশে ফেরার পর মেয়েটি বিয়ের কথা বললে হুমায়ুন সাড়া দেননি। একপর্যায়ে জানা যায়, হুমায়ুন বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী-সন্তান আছে। এ নিয়ে হুমায়ুনের সঙ্গে মেয়েটির ঝগড়া ও মনোমালিন্য হয়।
এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, ৩ অক্টোবর হুমায়ুন দেখা করার অনুরোধ করলে ভৈরব পৌরসভার কাছে যায় মেয়েটি। এরপর সেখানকার একটি ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ও ছবি তুলে রাখেন। বাড়াবাড়ি করলে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনায় মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কয়েক দিন পর হুমায়ুন আবার মেয়েটিকে দেখা করতে বলেন। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় ভিডিও ও ছবি মেয়েটির স্বজনদের পাঠিয়ে সম্মানহানি করেন।
মামলার বাদী প্রথম আলোকে বলেন, ‘হুমায়ুন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে ক্ষান্ত হয়নি। ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে আমার মেয়ের জীবন শেষ করে দিয়েছে।’ হুমায়ুনের স্ত্রীকে অভিযুক্ত করার বিষয়ে বলেন, ‘ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে হুমায়ুনের স্ত্রীর হাত আছে।’
তবে পুলিশি হেফাজতে থাকা হুমায়ুন আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী বেগম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হুমায়ুন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কে ভিডিও করেছে এবং কারা ছড়িয়েছে—কোনোটি আমার জানা নেই।’
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহিন মিয়া বলেন, র্যাবের সহযোগিতায় শিমুলকান্দি গ্রাম থেকে মামলার আসামি স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।