রাত তখন দুটো পেরিয়েছে। মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বালিগাঁও ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জন্ম হলো এক শিশুর। নতুন এক প্রজন্মের প্রতিভূ সে। সকালে ক্লিনিক থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে মা ও শিশুকে। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলো শিশুটির মা-বাবা নাসিমা বেগম ও জসীম শেখের সঙ্গে। তাঁদের এই চতুর্থ সন্তান বিটা প্রজন্মের প্রতিনিধি।
জানা গেল, তিন কন্যার পর তাঁদের এই পুত্রের জন্ম। মজার ব্যাপার হলো, তাঁদের প্রথম কন্যা জেন–জি, পরের দুজন জেনারেশন আলফা। আর এবার ঘরে এল বিটা প্রজন্মের একজন। অর্ধাৎ নাসিমা–জসীমের চার সন্তান তিন প্রজন্মের প্রতিনিধি।
বিটা প্রজন্মের এই শিশুর এখনো নাম ঠিক হয়নিছবি: ডা. শেখ তানভীর হাসান
২০২৫ সালে পৃথিবীজুড়ে প্রযুক্তির উৎকর্ষের ছাপ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন বহুল ব্যবহৃত। এই তো সেদিন সূর্যের কাছে মহাকাশযান পাঠিয়েছে নাসা। এতসবের মধ্যে জেনারেশন বিটার বেড়ে ওঠাটাও হবে ভিন্ন ধরনের। তারা যখন তারুণ্যে পৌঁছাবে, তখন পৃথিবী নিশ্চয়ই এগিয়ে যাবে আরও। তবে এসব কিছুর চেয়ে নিজেদের অকৃত্রিম বিশ্বাসের শেকড়টাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ জসীম শেখ ও নাসিমা বেগমের কাছে। জসীম রাজমিস্ত্রি। নাসিমা গৃহিণী। জেনারেশন বিটার নাম শোনেননি এই দম্পতি।
জেনারেশন বিটার সদস্য এই শিশু বড় হয়ে কী পড়বে, কী করবে, তা সময়ই বলে দেবে। এখনো নাম রাখা হয়নি তার। জন্মের সময় কিছু জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল তার। বালিগাঁও ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শেখ তানভীর হাসান সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। সব শঙ্কার মেঘ কেটে গেছে। পৃথিবীর বুকে কেঁদে উঠেছে শিশুটি। পরিবারটিতে বয়ে এনেছে অনাবিল আনন্দ। সাফল্যের সঙ্গে নিরাপদে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়েছে যে চিকিৎসক এবং তাঁর দলের হাতে, নতুন প্রজন্মের সূচনায় একটা ধন্যবাদ তো তাঁদের দিতেই হয়।