আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন (কপ ২৯) চলছে। সম্মেলনে অংশ নিতে ইতিমধ্যে বিশ্বনেতারা বাকুতে জড়ো হয়েছেন। কিন্তু বিশ্বনেতাদের এই তালিকায় অনেক বড় নামই নেই।
বড় নেতাদের অনুপস্থিতির পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের প্রভাব বাকুর জলবায়ু সম্মেলনে গভীরভাবে পড়েছে।
গতকাল সোমবার এই সম্মেলন শুরু হয়। ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সম্মেলন চলবে। সম্মেলনের প্রথম দুই দিনে বাকুতে ৭৫ জনের বেশি বিশ্বনেতার আসার কথা।
কিন্তু জাতিসংঘের এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও দূষণকারী অর্থনীতির কিছু দেশের নেতা।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ জি-২০ জোটের মাত্র কয়েকজন নেতা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৮০ শতাংশই এই জোটের দখলে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশের সঙ্গে জড়িত জি-২০ জোটের দেশগুলো। আবার বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী যে গ্রিনহাউস গ্যাস, তার প্রায় ৮০ শতাংশই এই জোটভুক্ত দেশগুলো নির্গমন করে।
যুক্তরাজ্যের জ্বালানিমন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড গতকাল সোমবার এক্সে বলেন, এই সরকার বিশ্বাস করে যে জলবায়ু নিরাপত্তা হলো জাতীয় নিরাপত্তা।
জি-২০ জোটের সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ বাকুর জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না।
গতকাল জলবায়ু সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে একটি বিষয়ে তৈরি হওয়া গভীর অনিশ্চয়তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আর তা হলো, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে। এ-সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার মূলে রয়েছে সদ্য সমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয়। ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘ধাপ্পাবাজি’ বলে প্রত্যাখ্যান করে আসছেন।
বাকুর সম্মেলনে অবশ্য বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক দূত অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের তিনি এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলায় মার্কিন প্রচেষ্টাকে থামিয়ে দেবে না।
অন্যদিকে জাতিসংঘের জলবায়ুপ্রধান সাইমন স্টিয়েলও জলবায়ু বিষয়ে সংহতির আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।