মালয়েশিয়ায় একটি ক্যাম্প এলাকায় শুক্রবার ভূমিধসের ঘটনায় নিহত বেড়ে ২১ জনে পৌঁছেছে। উদ্ধারকারীরা ভূমিধসে চাপা পড়া থাকা আরো ১২ জনের জন্য রাতেই খনন কাজ পরিচালনা করেন।
সেলানগর রাজ্যের দমকল বিভাগের প্রধান জানান, রাজ্যের একটি জৈব খামারে ক্যাম্প এলাকায় তাঁবু খাটিয়ে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ ঘুমাচ্ছিলেন। ওই এলাকার ৩০ মিটার উঁচু থেকে একটি সড়ক ধসে পড়লে ক্যাম্প এলাকার প্রায় এক একর জায়গা মাটি চাপা পড়ে।
জেলা পুলিশ প্রধান সুফিয়ান আব্দুল্লাহ বলেন যে জমির মালিকদের সেখানে ক্যাম্প গ্রাউন্ড বসানোর লাইসেন্স ছিল না। অন্তত সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং আরো ডজনখানেক ব্যক্তিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
লিওং জিম মেং ইংরেজি ভাষার দৈনিক নিউ স্ট্রেইটস টাইমসকে বলেন, তিনি ও তার পরিবার একটি বিকট শব্দে জেগে যান এবং কুয়ালালামপুরের রাজধানী থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তরে বাটাং কালির ক্যাম্পসাইটের ভূমির কম্পন অনুভব করেন।
৫৭ বছর বয়সী একজন বলেন, ‘আমাদের তাঁবু মাটিতে ঢেকে যাওয়ায় আমি ও আমার পরিবার আটকা পড়েছিলাম। আমরা একটি গাড়ি পার্ক এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হই এবং দ্বিতীয় ভূমিধসের ঘটনা শুনি। এটি আশ্চর্যজনক ছিল, কারণ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কোনো ভারী বৃষ্টি হয়নি, শুধুমাত্র হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।’
মালয়েশিয়ায় বর্তমানে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের মৌসুম চলছে। দেশটির সরকারের উন্নয়নমন্ত্রী এনগা কোর মিং বলেন, নদী, জলপ্রপাত ও পাহাড়ের ধারে দেশব্যাপী সমস্ত ক্যাম্পসাইট নিরাপত্তা মূল্যায়নের জন্য এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে।