হোসে মেরেনডেজের গল্পটা হয়তো অনেকেরই জানা, কেউ আবার না–ও জানতে পারেন। কিউবায় বিপ্লবের পর ‘আমেরিকান ড্রিম’ সত্যি করতে তরুণ বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে হাজির হয়েছিলেন জোসে। রেস্তোরাঁয় ডিশ ওয়াশের কাজ দিয়ে শুরু। এরপর নানা সংগ্রাম করে পড়াশোনা শেষ করেন, হন একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী। এ পর্যন্ত তাঁর জীবনের গল্প সিনেমা বা সিরিজ নির্মাণের জন্য যথেষ্ট ছিল, তবে মূল ঘটনা তখনো শুরুই হয়নি।
হোসের ছিল দুই ছেলে লায়েল ও এরিক মেরেনডেজ; আপাতদৃষ্টে সুখী সংসার। তবে এই মেরেনডেজ পরিবার হঠাৎই আলোচনার কেন্দ্রে আসে ১৯৮৯ সালে। লায়েল ও এরিকের হাতে খুন হন তাঁদের মা-বাবা ম্যারি লুসি কিটি ও হোসে মেরেনডেজ! ১৯৯৬ সালে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর দুই ভাইয়েরই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। পরে দুই ভাই জানান, বাবার হাতে দীর্ঘদিন শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাঁরা। আলোচিত এ ঘটনা এবার উঠে এসেছে পর্দায়।
বাস্তব অপরাধের কাহিনি নিয়ে নির্মিত হয় নেটফ্লিক্সের ‘মনস্টার’ সিরিজ। লায়েল ও এরিকের ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে এবারের কিস্তি। চলতি সপ্তাহেও নেটফ্লিক্সের টিভি সিরিজের তালিকায় শীর্ষে আছে ‘মনস্টার’। তবে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মুক্তির পর থেকেই সিরিজটি নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।