সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিদ্রোহীদের ড্রোন দিয়েছিল ইউক্রেন। যদিও বাশারের সঙ্গে সরাসরি কোনো শত্রুতা নেই তাদের। তবে বাশারকে এত দিন ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছিল রাশিয়া। সেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের তৎপরতার অংশ হিসেবে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ড্রোন দিয়েছে ইউক্রেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। তাতে বিদেশে ইউক্রেনের সামরিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানাশোনা আছে এমন সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ আগে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল–শামের (এইচটিএস) কার্যালয়ে ২০ জন অভিজ্ঞ ড্রোনচালক এবং ১৫০টি ড্রোন পাঠিয়েছিলেন ইউক্রেনের গোয়েন্দারা।
বাশারের পতনের অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছে এইচটিএস। গত ২৭ নভেম্বর ইদলিব থেকে আরও কয়েকটি ছোট–বড় গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানী দামেস্ক অভিমুখে অভিযান শুরু করে তারা। মাত্র ১২ দিনের অভিযানের মুখে গত রোববার পতন হয় বাশার সরকারের। এরপর তিনি মিত্র দেশ রাশিয়ায় চলে যান। সেখানে তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের এই প্রচেষ্টা বাশারের পতনে কিছুটা ভূমিকা রেখেছে। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় রাশিয়ার যে তৎপরতা রয়েছে, তা নস্যাৎ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এইচটিএসকে ড্রোন দিয়েছে কিয়েভ।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের এক–পঞ্চমাংশ অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রেখেছে রাশিয়া। তাদের রুখতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের সহায়তায় যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে কিয়েভ। তবে জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে বসার পর এই সহায়তা কতটা জারি থাকবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।