এখন তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। গতকাল রোববার ভারতের বিশেষ বিবাহ আইন অনুযায়ী সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবাল বিয়ে করেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় অভিনেত্রী নিজে তাঁর ইনস্টাগ্রামের পাতায় বিয়ের কিছু মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেছেন। এসব ছবিতে দেখা গেছে, সোনাক্ষীর পরনে সাদা শাড়ি ও হীরা-মুক্তখচিত অলংকার। জানা গেছে, এই বিশেষ দিনের জন্য তিনি ৪৪ বছরের পুরোনো শাড়ি আর অলংকারে বেছে নিয়েছিলেন। এই শাড়ি ও অলংকারের সঙ্গে সোনাক্ষীর বিশেষ যোগও ফাঁস হয়েছে।
বিয়ের দিন বলিউড তারকাদের পরনে সাধারণত নামী ডিজাইনারের দামি পোশাক দেখা যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অন্য পথে হেঁটেছেন সোনাক্ষী। বিয়ের দিন পুরোনো সাদা শাড়ি, সাবেকি অলংকার ও খোঁপায় সাদা ফুল গুঁজে স্নিগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহার এই কন্যা।
সোনাক্ষীর পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরেছিলেন জহির। সোনাক্ষীর এই শাড়ি সবার নজর কেড়েছে। তবে তাঁর এই শাড়ির পেছনে এক ইতিহাস লুকিয়ে আছে। জানা গেছে, সোনাক্ষীর পরনের সাদা এই শাড়ি ৪৪ বছরের পুরোনো।
বিয়ের আসরে জহির ও সোনাক্ষী। সোনাক্ষীর ফেসবুক থেকে
শাড়িটি সোনাক্ষীর মা পুনম সিনহার। ৪৪ বছর আগে পুনম নিজের বিয়ের দিন সাদা শাড়িটি পরেছিলেন। এমনকি সোনাক্ষী নিজের বিয়ের দিন মায়ের বিয়ের অলংকারে বেছে নিয়েছিলেন। তবে বিয়ের পর রাতে রিসেপশন পার্টিতে এই তারকা-কন্যাকে লাল সিল্কের শাড়ি, তার সঙ্গে মানানসই অলংকার এবং সিঁথিতে সিঁদুর পরে দেখা গিয়েছিল।
সোনাক্ষী-জহিরের বিয়ের রিসেপশন পার্টি ঝলমলিয়ে উঠেছিল বিটাউন তারকাদের সমাগমে। মুম্বাইয়ের দাদারে শিল্পা শেঠির বাস্টিন রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এই ঝলমলে পার্টিতে সালমান খান, অনিল কাপুর, রেখা, টাবু, কাজল, অদিতি রাও হায়দারি, সিদ্ধার্থ, শারমিন সেহগল, আরবাজ খান, সানজিদা শেখসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সোনাক্ষী সিনহাছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
সাত বছরের ধরে সোনাক্ষী আর জহির প্রেম করছেন। প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে তাঁরা এখন স্বামী-স্ত্রী। প্রথমে শোনা গিয়েছিল শত্রুঘ্ন সিনহা এই বিয়েতে খুশি নন। পরে এই অভিনেতা-রাজনীতিবিদ জানান যে সব মনোমালিন্য দূর হয়ে গেছে। আর তিনি মেয়ের বিয়েতে খুব মজা করবেন বলে জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া নানা ছবিতে দেখা গেছে শত্রুঘ্ন, পুনম সিনহা মেয়ের বিয়ের খুশিতে শামিল হয়েছেন। গতকাল সকালে শত্রুঘ্ন সিনহার বাংলো রামায়ণায় সোনাক্ষীর বিয়ে উপলক্ষে পূজার আয়োজন করা হয়েছিল।
গতকাল দুপুরে সোনাক্ষী-জহিরের বান্দ্রার কারটার রোডের নতুন ঠিকানায় তাঁরা রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেছেন। তবে তাঁরা হিন্দু বা মুসলিম রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেননি। কিন্তু এই প্রেমিক যুগল দুই পরিবারের বিয়েসংক্রান্ত নিয়মকানুন, আচার-অনুষ্ঠান মেনে চলেছিলেন।