খাগড়াছড়িতে এক কাউন্সিলরের মামলায় আরেক কাউন্সিলরের জেল ও জরিমানা করেছে আদালত। খাগড়াছড়ির যুগ্ম জেলা জজ মাহমুদুল হাসান এ মামলার রায় দেন।
আজ ৩০ জুন (বৃহস্পতিবার) এ রায়ের পরে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তবে সাজাপ্রাপ্ত কাউন্সিলরকে জেলে যেতে হয়নি। তিনি উচ্চাদালতে আপীল সাপেক্ষে জামিন নিয়েছেন।
খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো বলেন, ২০১৯ সালে খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মজিদ ৩৫লক্ষ টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেন, মাটিরাঙা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলামের বিরূদ্ধে। অভিযোগে মজিদ উল্লেখ করেন আসামী সাইফুল জরুরী প্রয়োজন দেখিয়ে কয়েক দিনের জন্য ৩৫লক্ষ টাকা হাওলাত নেন। পরে টাকা না দিয়ে চেক দেন। চেক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিলে টাকা না থাকায় ব্যাংক ডিজওনার করেন। মামলার পরেও আসামী টাকা দেব-দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করে আসছিল। পরে সাক্ষী নিয়ে খাগড়াছড়ির যুগ্ম জেলা জজ মাহমুদুল হাসান আজ ৩০ জুন (বৃহস্পতিবার) আসামী সাইফুল ইসলামকে এক বছরের কারাদন্ড ও ৩৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড করেন। পরে উচ্চাদালতে আপীল দায়েরের শর্তে জামিন নেন সাইফুল ইসলাম।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, আমার মক্কেল ন্যায় বিচার পায়নি। তারা যুগ্ম জেলা জজের আদেশের বিরূদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপীল করবেন।