মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি পৌররশহরের শালবন এলাকার সুরাজ খানের ছেলে লেবার মাঝি জালাল খান জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি) আদালতে পিটিশন দিলে বিচারক মো. ফরিদুল আলম এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনের নির্মাণাধীন ক্যান্টিলিভার ধসে দুই শ্রমিক নিহত ও ৫ শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনার দুই মাস পর খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুসহ ৫ জনের রুিদ্ধে মামলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবীরঅ্যাডভোকেট বেদারুল ইসলাম ও আদালতের ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম।
মামলায় অন্য আসামি হলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা, ঠিকাদার সেলিম ও সাব-ঠিকাদার প্রাণতোষ প্রকাশ প্রাণন্ত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেদারুল
ইসলাম জানান, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দায়িত্বে অবহেলা করে হত্যাকান্ড সংঘটনসহ নিহত ও আহত শ্রমিকদের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে ফৌজদারি অপরাধ করেছে। তাদের শান্তি দাবি করে জালাল খান অভিযোগ দিয়েছে। আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৬(৩) ১৫৬(৩) ধারা মতে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে দায়ের করার নির্দেশ দেন। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ জানান, আদালত থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা পায়নি। আদালত যে ভাবে নির্দেশ দিবেন সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৮ অক্টোবর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কেন্ডিলিভারের ছাদ ধসে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত ও অপর ৫ জন আহত হন।
মৃত এক শ্রমিক খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার
সবুজবাগ এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে
সাজ্জাদ হোসেন (২২), অন্যজন হলেন, বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার কালিগাতি এলাকার সোহরাব শিকদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২)।
আহতরা হলেন, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার
শালবন এলাকার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে
রোকন (৩৮), আবদুস সালামের ছেলে হানিফ মিয়া(২৫), মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে সোহেল (২০),থলিপাড়ার এলাকার লালু চান মিয়ার ছেলে হাসান (২৪), মাটিরাঙ্গার আবদুল খালেকের ছেলে হানিফ (২০)।
এ ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে