অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সাইবার অপরাধীরা ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করছে। প্রতারণার জন্য অপরাধীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, চাকরি খোঁজার ওয়েবসাইটের পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে এসব ভুয়া চাকরির প্রতারণার কৌশল যেভাবে চিহ্নিত করে নিরাপদ থাকা যাবে, তা দেখে নেওয়া যাক।
অনলাইনে ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ ও ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। এ জন্য তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। অনেক সময় দেখা যায়, চাকরির আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট অর্থের প্রসেসিং ফি দাবি করে। এমনকি চাকরির আগে প্রশিক্ষণের জন্যও অর্থ চাওয়া হয়। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে এভাবে অর্থ দাবি করলে সতর্ক থাকতে হবে।
অনেক সময় চাকরির কথা বলে ই–মেইল পাঠিয়ে থাকে হ্যাকাররা। এতে আবেদনের জন্য লিংক দেওয়া থাকে এবং এসব লিংকে ক্লিক করার পর ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয়। সাধারণত এসব ই–মেইল অপেশাদারি মানের হয়। বাক্য গঠনে ব্যাকরণগত ভুল থাকে। তাই কোন উৎস থেকে চাকরির অফারসহ ই–মেইল এসেছে, তা যাচাই করতে হবে। লিংকে ক্লিক করার আগে ও ক্লিক করার পর ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
অনেক সময় হ্যাকাররা ফোনকল করে চাকরির অফার দেয়। এতে অবিশ্বাস্য পরিমাণ অর্থ পাওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। এমনকি সেই চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয়। এ ধরনের চাকরির অফার থেকে সাবধান থাকতে হবে।
যদি কোনো প্রতিষ্ঠান কম সময়ে বেশি আয়ের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করে, তবে তা ভালোভাবে যাচাই করা উচিত। প্রতারণামূলক চাকরির বিজ্ঞাপনে কাজের বিবরণ সাধারণত অস্পষ্ট ও অসম্পূর্ণ থাকে। প্রকৃত চাকরির বিজ্ঞাপনে কাজের দায়িত্ব, কর্তব্য ও চাকরিদাতার প্রত্যাশা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়, পাশাপাশি একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণও থাকে।