নীলফামারীর ডোমার জেনারেল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১৩ বছরের এক মাদ্র্যাসা ছাত্রীর গর্ভবর্তী হওয়ার ভুল রিপোর্ট দেওয়ার ঘটনায় ভ্রাম্যমান আদালত ক্লিনিকটি সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে। সেই সাথে ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৩৮, ৪০ ও ৫২ ধারায় ওই রায় দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি জানান, অভিযোগ ও নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার অংশ হিসাবে ক্লিনিকটি সাময়িক বন্ধ ও ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু শর্ত ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে। সেই শর্তগুলো পূরণের পর অনুমতি স্বাপেক্ষে পুনরায় তারা ক্লিনিকটি চালু করতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত (১২ জুন) সোমবার বিকেলে ক্লিনিকটিতে পেটের ব্যথার চিকিৎসার জন্য ১৩ বছরের এক মাদ্র্যাসা ছাত্রী এলে চিকিৎসক তাকে কিছু মেডিকেল পরীক্ষা করতে বলেন। ওই ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও ইউরিন পরীক্ষা করে কিশোরীকে অন্তঃসত্ত্বা বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়। সন্দেহ হলে স্বজনরা অন্য দুটি ক্লিনিকে গিয়ে একই পরীক্ষা করে। সেখানে জানতে পারেন, কিশোরিটি অন্তঃসত্ত্বা নয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ডোমার জেনারেল ক্লিনিক অবরোধ করেন।