‘আঁর হুত বাড়িত কিল্লাই আইয়ে না। আঁরে হুতের কাছে লই ছল।’ (আমার ছেলে বাড়ি কেন আসে না। আামকে আমার ছেলের কাছে নিয়ে চলো)। এভাবে বিলাপ করতে করতে বুকে কিল মারছিলেন হাছিনা আকতার। পাশে বসে স্বামী বেলাল হোসেন ও মেজো ছেলে এয়াকুব মিথ্যা সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন তাঁকে, পানি কমে গেলে ইরন বাড়ি আসবেন আর কয়েকটি দিন পর।
ফেনী ফুলগাজী উপজেলার করইয়া বড় বাড়ির ঘরে এভাবে আর্তনাদ করে চলেছেন হাছিনা। অনেকটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন তিনি। তাঁর ছোট ছেলে আনসার সদস্য ওয়াহিদুর রহমান ওরফে ইরন (২৪) ২৩ আগস্ট মায়ের কাছে ফেরার সময় বন্যার পানিতে তলিয়ে যান। ২৫ আগস্ট তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই দাফন করা হয় বাড়িসংলগ্ন একটা উঁচু জায়গায়। মা হাছিনাও ছেলের মরদেহ জড়িয়ে কান্নাকাটি করেন।