ঢাকার বাড্ডা থানার একটি হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী আজ সোমবার সকালে এ আদেশ দেন।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সাতজনকে মিরপুর থানায় দায়ের করা বিভিন্ন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী এসব নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাবেক আইনমন্ত্রীকে আজ সকাল সাড়ে সাতটার পর আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাঁকে বাড্ডা থানার মামলায় ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। অন্যদিকে তাঁর আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে মিরপুর থানায় দায়ের করা পৃথক সাতটি হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে মিরপুর থানার পুলিশ। আদালত ওই সাত মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে সকাল সাড়ে সাতটার পর আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাঁকে মিরপুর থানায় দায়ের করা পৃথক চারটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
একইভাবে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে মিরপুর থানায় দায়ের করা পৃথক দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত ওই দুই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে মিরপুর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানকে মিরপুর থানার একটি হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি–বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদকে মিরপুর থানার পৃথক তিনটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নেতাদের বাইরে সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে মিরপুর থানার পৃথক চারটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। পৃথক ১০টি মামলায় তাঁর ৫৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক। পৃথক সাতটি মামলায় সালমানের ৪৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। অন্যদিকে আনিসুলের ৩০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হন জুনাইদ আহ্মেদ। পাঁচ মামলায় তাঁর ৩৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২২ আগস্ট গ্রেপ্তার হন রাশেদ খান মেনন। চার মামলায় তাঁর ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৬ আগস্ট গ্রেপ্তার ইনু। পাঁচ মামলায় তাঁর ২৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ৫ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন শাজাহান খান। একটি হত্যা মামলায় তাঁর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।